কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
প্রাণিসম্পদ ও বিকাশ দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, কড়কনাথ হল মধ্যপ্রদেশের ঝাবুয়া জেলার মুরগি। এটি বিরলতম প্রজাতি। এই মুরগির মাংসকে ‘বিএমসি’ তথা ‘ব্ল্যাক মিট চিকেন’ বলা হয়। সারা পৃথিবীতে মাত্র তিন ধরনের বিএমসি পাওয়া যায়। এ দেশের মধ্যপ্রদেশের কড়কনাথ, চীনের সিলকি এবং ইন্দোনেশিয়ার আয়াম সিমানি। কড়কনাথ খেতে খুবই সুস্বাদু। স্বাস্থ্যসম্মতও। বাজারে এর মাংসের দাম গড়ে ৭০০-৮০০ টাকা কেজি। এক একটি ডিমের দাম ৪০-৫০ টাকা। ডিমেও প্রচুর পুষ্টিগুণ রয়েছে। কড়কনাথের মাংসে ভিটামিন বি-১, বি-২, বি-৬, বি-১২ এবং ভিটামিন-ই রয়েছে। এছাড়াও প্রোটিন, নিয়াসিন, ফ্যাট, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন এবং নাইকোটিনিক অ্যাসিড রয়েছে।
অন্যান্য মুরগি মাংসে যেখানে ১৮-২০ শতাংশ প্রোটিন থাকে, সেখানে কড়কনাথে প্রোটিনের পরিমাণ ২৫ শতাংশ। একইভাবে অন্যান্য মুরগির মাংসে যেখানে ১৩-২৫ শতাংশ ফ্যাট থাকে, সেখানে কড়কনাথে ফ্যাটের পরিমাণ ০.৭৩-১.০৩ শতাংশ। অন্যান্য মুরগির মাংসে প্রতি ১০০ গ্রামে ২১৮ মিলিগ্রাম কোলেস্টরল থাকে, সেখানে কড়কনাথে প্রতি ১০০ গ্রামে কোলেস্টরলের মাত্রা ১৮৪ মিলিগ্রাম। দেশের কেরল, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা ও তামিলনাড়ুতে বাণিজ্যিকভাবে প্রচুর এই কড়কনাথ মুরগির চাষ হয়। এ রাজ্যে বিক্ষিপ্তভাবে হলেও এখনও এই মুরগির চাষ বাড়েনি। পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোট ব্লকে এই মুরগির চাষ শুরু হয়েছে। পূর্বস্থলী-১ ব্লকের দামোদরপাড়ায় মন্ত্রী স্বপন দেবনাথের একটি অনাথ ও বৃদ্ধাশ্রম রয়েছে। সেখানে তিনি এই মুরগি প্রতিপালন করছেন।
মন্ত্রী বলেন, নদীয়ার কৃষ্ণনগরে একজন প্রাণিপালক আমাকে ১৪টি কড়কনাথের বাচ্চা দিয়েছিলেন। আমার অনাথ আশ্রমের শিশুদের ডিম খাওয়ানোর জন্যই নিয়ে এসেছি। এখন ডিমও দিচ্ছে। সপ্তাহখানেক আগে ডিম ফুটে ১৫টি বাচ্চাও হয়েছে। মাংস ও ডিমে প্রচুর পুষ্টিগুণ রয়েছে। তাই সাধারণ মানুষকেও এই মুরগি চাষে আমরা উৎসাহিত করছি। জেলার প্রাণিসম্পদ ও বিকাশ দপ্তরের যুগ্ম অধিকর্তা প্রবীর পাঠক বলেন, পূর্ব বর্ধমানে কড়কনাথ মুরগির প্রতিপালন এখনও সরকারিভাবে শুরু হয়নি। তবে, যাঁরা এই মুরগি প্রতিপালন করতে চান, আমরা তাঁদের সমস্তরকম সহযোগিতা করব এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শও দেব।