কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, মার্চের শেষ থেকে শুরু হয়েছে লকডাউন। সেদিন থেকে এখনও পর্যন্ত হাওড়া জেলায় জবকার্ডের ভিত্তিতে কাজ দেওয়া হয়েছে ১ লক্ষ ২৩ হাজার ৪৮৪ জনকে। যা গত কয়েক বছরের মধ্যে রেকর্ড। ২০১৮-’১৯ সালে সারা বছরে যত জনকে এই প্রকল্পে কাজ দেওয়া হয়েছিল, তার চেয়েও অনেকটাই বেশি এই প্রায় পাঁচ মাসে কাজ পাওয়া মানুষের সংখ্যা। শুধু তাই নয়, লকডাউন শুরু হওয়ার পর ভিনরাজ্য থেকে কাজ হারিয়ে ফিরে আসা আট হাজারেরও বেশি পরিযায়ী শ্রমিককে জব কার্ডের ভিত্তিতে ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে যুক্ত করতে পেরেছে জেলা পরিষদ। যা এই সঙ্কটের সময় গ্রামীণ বহু পরিবারের একমাত্র রোজগার হয়ে দাঁড়িয়েছে। আগামীদিনে আরও পরিযায়ী শ্রমিককে এই প্রকল্পের আওতায় এনে কাজ দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
হাওড়া জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সীতানাথ ঘোষ জানান, ২০১৮-’১৯ সাল পর্যন্ত এই জেলায় মোট ২ লক্ষ ৮৭ হাজার জব কার্ড রয়েছে। তার মধ্যে গত বছর কাজ পেয়েছিলেন ১ লক্ষ ৪ হাজার মানুষ। এবার তার অর্ধেকেরও কম সময়ে কাজ পেয়েছেন ১ লক্ষ ২৩ হাজারের কিছু বেশি মানুষ। অর্থাৎ গত বছর এই সময়ের তুলনায় এই লকডাউনের মধ্যে দ্বিগুণেরও বেশি মানুষ কাজ পেয়েছেন এই জেলায়। এর মধ্যেই রয়েছেন ৮ হাজার ১১৪ জন পরিযায়ী শ্রমিক। পরিযায়ী শ্রমিকদের স্থানীয়ভাবে কাজে যুক্ত করার জন্য উদ্যোগ নিয়েছিল জেলা পরিষদ। শুধুমাত্র এই প্রকল্পে কাজই নয়, বিভিন্ন ঠিকাদারদের আবেদন করা হয়েছে, তাঁরা রাস্তা, নিকাশি বা সেতু ইত্যাদি কাজে যেন স্থানীয় লোকজনকে অগ্রাধিকার দেন কর্মী হিসেবে। তার সুফলও অনেকে পাচ্ছেন বলে দাবি প্রশাসনের কর্তাদের। জেলা পরিষদের সহ-সভাপতি অজয় ভট্টাচার্য বলেন, বিভিন্ন অসংগঠিত ক্ষেত্রে কাজ বন্ধ এখন। জেলায় প্রায় তিন লক্ষ জব কার্ড থাকলেও রাজমিস্ত্রি, তাঁর সহকারী, ওস্তাগর, জরির কাজের জন্য অনেকে এই প্রকল্পে কাজে যুক্ত হতেন না। এই বিপুল সংখ্যক কাজ হারানো মানুষকে খেয়েপরে বেঁচে থাকার জন্য কোনও না কোনও কাজে নিযুক্ত করার বিষয়টি আমরা নজর দিই। ফলে অনেক পরিবারই বাঁচার রসদ পাচ্ছেন এখান থেকে। আগামীদিনে এই প্রকল্পে আরও মানুষকে যুক্ত করাই আমাদের লক্ষ্য হবে।