কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
প্রসঙ্গত, ১৯৯৫ সালের ১৭ ডিসেম্বর মাসে এই ঘটনা ঘটে। অ্যাটনভ-৩২ বিমান থেকে ফেলা হয় ১০০’র বেশি একে ৪৭, রকেট লঞ্চার, পিস্তল ও গুলি। ওই বিমানের ক্রু পাঁচজন লাটাভিয়ার নাগরিক এবং পিটার ব্লিচ নামে এক ব্রিটিশ নাগরিক ধরা পড়ে। মূল অভিযুক্ত কিম ডেভি পালিয়ে যায়। মামলার তদন্তভার দেওয়া হয় সিবিআইকে। তখন থেকে তাকে হাতে পেতে মরিয়া সিবিআই। এই নিয়ে দুই দেশের সরকারি স্তরে আলোচনা চলছে। এর আগে ডেনমার্কের কোপেনহেগেনের হাইকোর্ট কিমকে ভারতে প্রত্যর্পণ নিয়ে আবেদন নাকচ করে দেয়। যুক্তি হিসেবে বলা হয়, ভারতের জেলগুলির অবস্থা খুব খারাপ। সেখানে গাদাগাদি করে বন্দিরা থাকে। তাদের উপর শারীরিক ও মানসিক নিপীড়ন চলে। প্রতিপদে লঙ্ঘিত হয় মানবাধিকার। তাতেও অবশ্য হাল ছাড়েনি সিবিআই। দিল্লির নর্থ ব্লকের নির্দেশে কিমকে ফেরাতে ফের সক্রিয় হয় তদন্তকারী সংস্থা। তাঁকে হাতে পেতে ডেনমার্কের আইন মন্ত্রকের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘রিকোয়েস্ট’ পাঠায় তারা। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, সেখানকার সরকার এই অনুরোধ বিবেচনার আশ্বাস দেয়। ডেনমার্ক সরকার আইনি জটিলতা নিয়ে বিভিন্ন স্তরে আলোচনা করে। প্রত্যর্পণ সংক্রান্ত চুক্তি খতিয়ে দেখা হয়। কিমকে দিল্লির হাতে তুলে দিতে রাজি হয় কোপেনহেগেন। চূড়ান্ত সম্মতি পেতে ইতিমধ্যেই সে দেশের সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে ডেনমার্ক সরকার। আর তারই অংশ হিসেবে এদেশের জেলের হাল-হকিকত খতিয়ে দেখে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের কাছে রিপোর্ট দিতে চায় ডেনমার্ক কর্তৃপক্ষ। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিনিধি দল এ কারণেই পাঠাতে চাইছে তারা। বিষয়টি জানিয়ে এদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে চিঠি পাঠিয়েছে ডেনমার্ক। যেহেতু অস্ত্রবর্ষণ মামলা এই রাজ্যে রয়েছে, তাই বিষয়টি জানানো হয়েছে নবান্নকেও। এখানকার সংশোধনাগার সংক্রান্ত সমস্ত নথি প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে।