গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
লকডাউনের দিনগুলিতে জরুরি পরিষেবা ছাড়া রাস্তায় বেরনোর অনুমতি রয়েছে শুধুমাত্র এই খাবার সরবরাহকারীদের। রাজ্য সরকারের ঘোষিত লকডাউনের দিনগুলিতে শহরের বিভিন্ন রেস্তরাঁ সাধারণ মানুষের জন্য বন্ধ থাকলেও বিভিন্ন অ্যাপ সংস্থার ডেলিভারি বয়দের জন্য প্রবেশ অবাধ। আবার এই দিনগুলিতে সব অফিস-কাছারি ছুটি থাকলেও অবিরাম কাজে যুক্ত পুলিস, হাসপাতাল কর্মী ছাড়াও ওষুধের দোকানের কর্মচারীরা। তাঁদের সকলের পক্ষে বাড়ির তৈরি খাবার পাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। কিন্তু খাবার তো চাই। সেক্ষেত্রে এইসব জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্তদের ভরসা জোগাচ্ছে বিভিন্ন ফুড অ্যাপ সংস্থা এবং তাদের সরবরাহকারীরা। লকডাউনের দিনগুলিতে রাস্তায় দাঁড়িয়ে কর্তব্যরত অবস্থাতেই অ্যাপ মারফত পছন্দসই খাবার অর্ডার করছেন বহু পুলিসকর্মী। চটজলদি খাবার পৌঁছে যাচ্ছে হাতের মুঠোয়। শনিবার লকডাউনে গড়িয়াহাট মোড়ে এক নামী ফুড অ্যাপ সংস্থার ডেলিভারি বয় বললেন, লকডাউনের দিনগুলিতে অর্ডার কিছুটা হলেও কম। তবে এই দিনগুলিতে সবচেয়ে বেশি অর্ডার থাকে বিভিন্ন হাসপাতাল এবং থানায়। অনেকেই স্থানীয় রেস্তরাঁ থেকে নিজেদের পছন্দসই খাবার অর্ডার দিচ্ছেন। জরুরি পরিষেবা সঙ্গে যুক্ত মানুষদের মুখে খাবার তুলে দিতে পেরে খুশি ডেলিভারি বয়রাও। তাঁদের অনেকেই বলছেন, ‘এখন আমরাও নিজেদের জরুরি পরিষেবার অঙ্গ হিসেবে মনে করি। এই কঠিন সময়ে স্বাস্থ্যকর্মী, উর্দিধারীদের কাছে খাদ্য পৌঁছে দিতে পেরে খুশি আমরা’।
অন্যদিকে, লকডাউনের দিনগুলিতে আঙুলের এক ক্লিকেই হাতের নাগালে খাবার মেলায় নিশ্চিন্ত জরুরি পরিষেবার কর্মীরাও। এসএসকেএম হাসপাতালের একজন স্বাস্থ্যকর্মী জানিয়েছেন, সকাল থেকে রোগীদের সঙ্গে কাটাতে হয়। ফলে বাড়ি থেকে খাবার নিয়ে আসার কোনও সুযোগ নেই। তাই বেশিরভাগ দিনই নির্ভর করতে হয় ফুড অ্যাপের উপর। লকডাউনের দিন হলেও খাবার নিয়ে চিন্তার কোনও অবকাশ নেই বলেই জানিয়েছেন হাসপাতালের ওই কর্মী।