পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
করোনা পরিস্থিতিতেতে দেখা গিয়েছে, সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন অন্য রোগ আছে, এমন মানুষজন। এইসব রোগের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপ, সুগার, শ্বাসকষ্ট, হৃদরোগ, কিডনির সমস্যা প্রধান। এই রোগগুলি একজনের থেকে অন্যজনে ছড়ায় না। যা চিকিৎসার পরিভাষায় অসংক্রামক রোগ বা এনসিডি নামে পরিচিত। দপ্তরের পরিকল্পনা, নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে চিকিৎসা করা হলে ওই সব রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। যা করোনার মতো রোগকে ভয়াবহ হতে দেবে না। এনিয়েই গত ৪ আগস্ট রাজ্যের ডিরেক্টর অব হেলথ সার্ভিসেস ও জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের রাজ্যের ডিরেক্টর নির্দেশিকা জারি করেছেন। যা থেকে স্পষ্ট ইঙ্গিত মিলেছে, অসংক্রামক রোগের চিকিৎসার খোলনলচে বদলে ফেলা হচ্ছে। ওই পরিষেবাকে উন্নত এবং রোগীবান্ধব করা হচ্ছে।
এনসিডি নিয়ে নজরদারির পরিকল্পনা প্রায় দু’বছর আগে কেন্দ্রীয় সরকার নিয়েছিল। এজন্য এনসিডি ক্লিনিকও চালু হয়। কিন্তু অভিযোগ, নানা কারণে শহর থেকে গ্রামে তা তেমন জনপ্রিয় হয়নি। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্যের স্বাস্থ্যদপ্তর ওইসব রোগ নিয়ন্ত্রণ ও চিহ্নিতকরণের প্রয়োজনীয়তা বেশি করে উপলব্ধি করেছে। আর তারপরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ওই পরিষেবাকে আরও সুসংহত করার উপর জোর দিয়েছে।
রাজ্য স্বাস্থ্য প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, উচ্চ রক্তচাপ, সুগারের মতো অসুখ অনেক ক্ষেত্রেই জীবনযাপনের ত্রুটির কারণে তৈরি হয়। তাই গ্রাম ও শহরের আশাকর্মীদের ব্যবহার করে সুষ্ঠু জীবনযাপন নিয়ে কাউন্সেলিংয়ের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ওই কাজে বেশি কর্মী প্রয়োজন হলে স্বনির্ভর গোষ্ঠী, মহিলা আরোগ্য সমিতিকে কাজে লাগানো হবে। নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, কম বয়সিদের এই ধরনের সমস্যা চিহ্নিত করতে হবে। পাশাপাশি নিয়মিত চিকিৎসা হচ্ছে কি না তাও নজরে রাখতে হবে। বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছেন এমন ব্যক্তিদের আলাদা করে নজরে রাখতে হবে। চিকিৎসা নিয়ে পরামর্শ পেতে বিশেষ টেলিফোন নম্বর সমস্ত স্বাস্থ্যকেন্দ্রে থাকবে। যাতে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে না এসেও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি পরামর্শ পেতে পারেন। চিকিৎসার ক্ষেত্রে ওষুধ থেকে অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপকরণ যথেষ্ট পরিমাণে মজুত রাখার জন্যও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।