বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
রাজনৈতিক দলের অফিসে রোজ কর্মী-সমর্থকদের আনাগোনা লেগেই থাকে। এখন সম্পূর্ণ লকডাউনের দিনগুলি ছাড়া তৃণমূলের সদর কার্যালয় খোলা থাকছে। হাতেগোনা হলেও কর্মীরা আসবেন, এটাই স্বাভাবিক। এই ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য-সুরক্ষার বিষয়ে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ করেছে তৃণমূল ভবন। তপসিয়ার তৃণমূল ভবনে নোটিস বোর্ডে একটি বার্তা দেওয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ‘কন্টেইনমেন্ট জোন থেকে যাঁরা আসছেন, তাঁদের কাছে একান্ত অনুরোধ, আপনারা অনুগ্রহ করে বাড়িতে থাকুন। পুরোপুরি লকডাউন উঠে গেলে আবার আমরা মিলিত হব।’ এই বার্তাকে বর্তমান সময় অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। ডাক্তার সাক্ষীগোপাল সাহা বলেন, এই ধরনের পদক্ষেপ যুক্তিপূর্ণ। নেতা-কর্মীর মধ্যে সম্পর্ক এক সুতোয় বাঁধা থাকে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে নিজের ও অপরের স্বাস্থ্যের দিকে গুরুত্ব দেওয়া বিশেষ প্রয়োজন। পাশাপাশি তাঁর পরামর্শ, রাজনৈতিক দলের নেতারা কর্মী বা সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলার সময় ছয় ফুট দূরত্ব বজায় রাখুন। আর সকলের মাস্ক পরাটা আবশ্যিক।
তাছাড়া তৃণমূল ভবন এখন ১১টা থেকে ৪টে পর্যন্ত খোলা থাকছে। নেতা-কর্মীরা চলে গেলে প্রতিদিন স্যানিটাইজেশন হচ্ছে বলে জানান অফিসের এক কর্মচারী। থার্মাল গান দিয়ে শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করেই সকলকে তৃণমূল ভবনে ঢোকার ছাড়পত্র দিচ্ছেন নিরাপত্তারক্ষীরা। সচেতনতার বন্দোবস্তে তৃণমূল পথ দেখাচ্ছে বলে উল্লেখ করেন রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী তথা তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের নেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। নাম না করে বিজেপির দিকে আঙুল তোলেন তিনি। বলেন, সাবধানতা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা প্রয়োজন সকলের। কিন্তু যে দল নিয়ম ভাঙছে তারাই আবার আঙুল তুলছে। নিজেদের সম্পর্কে তারা সচেতন নয়।