উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। হিসেব করে চললে তেমন আর্থিক সমস্যায় পড়তে হবে না। ব্যবসায় উন্নতি ... বিশদ
সারদা মামলায় একেবারে গোড়ার দিকে ইডির তদন্তকারী অফিসার ছিলেন রঞ্জনবাবু। তিনি সুদীপ্ত সেনের ফ্ল্যাট সহ একাধিক সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেন। জেরা করেন সুদীপ্তর ছেলে শুভজিৎ সেন ও তাঁর স্ত্রী পিয়ালী সেনকে। সেই বিষয় নিয়ে তাঁর কাছে এদিন জানতে চাওয়া হয় বলে সিবিআই সূত্রে জানা যাচ্ছে। বাজেয়াপ্ত করা সম্পত্তি বাদে আরও কিছু সম্পত্তির হদিশ মিলেছিল কি না, এই বিষয়ে তাঁর কাছে তথ্য চাওয়া হয়।
অন্যদিকে রোজভ্যালি মামলা ইডির তরফে প্রথম থেকে দেখছিলেন মনোজ কুমার। তিনি গৌতম কুণ্ডুর বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেন। কিন্তু অভিযোগ, তদন্ত চলাকালীন রোজভ্যালির বিপুল পরিমাণ টাকা বিদেশে পাচার হয়ে যায়। এমনকী রোজভ্যালির স্বর্ণবিপণি সংস্থার ডিরেক্টর পদে পরিবর্তন ঘটে। শুভ্রা কুণ্ডু এই পদে বসেন। সেখান থেকেও বিপুল পরিমাণ টাকা সরিয়ে ফেলা হয়েছে বলে জেনেছে সিবিআই। বাজেয়াপ্ত না হওয়া রোজভ্যালির সম্পত্তির একটা বড় অংশ রাতারাতি হাতবদল ঘটে যায় এবং নাম বদলে ফেলা হয়। সিবিআইয়ের বক্তব্য, তদন্তের মাঝে যা হওয়ার কথা নয়। এহেন হস্তান্তর ও মালিকানা বদল কীভাবে নজর এড়িয়ে গেল, তা নিয়ে প্রশ্ন করা হয় মনোজকুমারকে। আর বিদেশে টাকা পাচারের বিষয়ে তিনি ঠিক কী জানতেন, জিজ্ঞাসাবাদে সেই বিষয়টিও উঠে আসে। ইডির ওই প্রাক্তন আধিকারিক দাবি করেছেন, স্বর্ণবিপণি সংস্থার ডিরেক্টর পদে পরিবর্তনের বিষয়টি জানার পরই তিনি এই নিয়ে ব্যবস্থা নিতে উদ্যোগী হন। আর টাকা পাচারের বিষয় নিয়ে তদন্ত করছিলেন। কিন্তু অভিযুক্ত গৌতম কুণ্ডুর স্ত্রী শুভ্রাকে নিয়ে তিনি দিল্লি গিয়েছিলেন কেন? এই প্রশ্নে কার্যত বেকায়দায় পড়ে যান মনোজ কুমার। তাঁর কিছু উত্তরে খুশি হননি সিবিআই অফিসাররা। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁর দেওয়া তথ্য যাচাই করা হচ্ছে। প্রয়োজনে তাঁকে আবার জেরার জন্য ডাকা হতে পারে।