পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
বাঁকুড়ার ক্ষেত্রে কী ঘটেছিল? জানা গিয়েছে, বছর খানেক আগে আর্থিক নয়ছয়ের এই বিষয়টি নজরে আসে তথ্য-সংস্কৃতি দপ্তরের শীর্ষ মহল এবং ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের। তবে নয়ছয়ের এই প্রক্রিয়া গত ২০১৮ সাল থেকে শুরু হয়েছিল বলে তথ্য-সংস্কৃতি দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে। তদন্তে দেখা যায়, মাত্র একটি অ্যাকাউন্টে ১১জন লোকশিল্পীর আর্থিক সাহায্য নিয়মিতভাবে ঢুকেছে। অথচ প্রত্যেক শিল্পীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে তা আলাদা আলাদা করে যাওয়ার কথা। খোঁজ করতে গিয়ে দেখে বেশ কয়েকমাস ধরে এই ঘটনা ঘটেছে। পরে ওই নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা ফের তুলেও নেওয়া হয়েছে। এরপর ব্যাঙ্কের তরফে বিষয়টি জানানো হয় জেলা প্রশাসনকে। তথ্য-সংস্কৃতি দপ্তরের তরফে বিষয়টি নিয়ে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়। শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে গত বছর লোকসভা নির্বাচনের আগে ওই আমলাকে বদলি করা হয় উত্তর দিনাজপুর জেলায়। নবান্নের তরফে গোটা বিষয়টির তদন্তভার দুর্নীতি দমন শাখার উপর ন্যস্ত করা হয়।
তদন্তে নেমে দুর্নীতি দমন শাখা সরকারি অর্থ নয়ছয় সংক্রান্ত যাবতীয় নথিপত্র জোগাড় করে। দেখা যায়, লোকপ্রসার প্রকল্পে নথিভুক্ত ২৩ জন শিল্পীকে নিয়মিত আর্থিক সাহায্য করা হচ্ছে। দুর্নীতি দমন শাখা সূত্রে জানা গিয়েছে, যে সমস্ত লোক শিল্পীর নাম তালিকাভুক্ত রয়েছে, তাঁরা কোথায় থাকেন এবং নিয়মিত টাকা পাচ্ছেন কি না, তা নিয়ে অনুসন্ধান শুরু হয়। দেখা যায়, এর মধ্যে ১১ জন লোকশিল্পীর কোনও অস্তিত্ব নেই, অথচ তাদের নামে নিয়মিত টাকা তোলা হচ্ছে। তারজন্য অস্তিত্বহীন শিল্পীদের ভুয়ো আধার কার্ড থেকে শুরু করে অন্য প্রমাণপত্র জমা দেওয়া হয়েছে।
গোটা ঘটনাটি ঘটিয়েছেন ওই আমলা। তিনি লোকশিল্পীদের আর্থিক সাহায্যের টাকা অনুমোদন করতেন। এই তদন্ত রিপোর্ট দুর্নীতি দমন শাখার তরফে নবান্ন’এর শীর্ষস্তরে পাঠানো হয়। কীভাবে তিনি দুর্নীতি ও টাকা নয়ছয় করে সরকারকে বিপাকে ফেলছেন, তাও জানানো হয় ওই রিপোর্টে। দুর্নীতি দমন শাখা ওই ডব্লুবিসিএস অফিসারের বিরুদ্ধে এফআইআর করার অনুমতি চায়। নবান্ন থেকে তাতে সবুজ সঙ্কেত মেলার পরই রাজ্য দুর্নীতি দমন শাখা এফআইআর এবং মামলা শুরু করে। সরকারি অর্থ নয়ছয়ের এই চক্রে ওই আমলার সঙ্গে আর কারা কারা জড়িত, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।