বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
বিশ্বভারতী সূত্রে জানা গিয়েছে, গুরুদেবের প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে আজ, শুক্রবার ভোর ৫টায় গৌরপ্রাঙ্গণে বৈতালিকের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হবে। পরে সকাল ৭টায় উপাসনা গৃহে কবিগুরুর স্মরণে বিশেষ মন্দির হবে। সেখানে উপাসনায় পাঠভবন ও সঙ্গীতভবনের পড়ুয়ারা রবীন্দ্রসঙ্গীত পরিবেশন করবেন। তারপর দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ আম্রকুঞ্জে প্রথা অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে বৃক্ষরোপণ উৎসব। সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন আশ্রমিক তথা রসায়ন বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক দীপক আচার্য। এদিনের সমস্ত অনুষ্ঠান করোনা বিধি মেনেই পালন করা হবে। শান্তিনিকেতন মূলত লালমাটির রুক্ষ প্রান্তর ছিল। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সেই রুক্ষ প্রান্তরকে সবুজ করার জন্য বৃক্ষরোপণ অনুষ্ঠানের সূচনা করেন। প্রতিবছর এই দিনটিতে শান্তিনিকেতনের আশ্রম প্রাঙ্গণে প্রতীকী চারাগাছ রোপণ করা হয়।
তবে এই অবস্থায় জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে কোনও অনুষ্ঠান হচ্ছে না। এবছর ২৫ বৈশাখ কেটেছে লকডাউনের মধ্যে। তাই কোনও অনুষ্ঠান হয়নি। আজ, শুক্রবার ২২ শ্রাবণ আনলক পর্বের মধ্যে পড়লেও করোনা সংক্রমণের হার ঊর্ধ্বমুখী। এই অবস্থায় কোনও অনুষ্ঠান করার ঝুঁকি নেওয়া হচ্ছে না। রবীন্দ্রভারতী সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক সিদ্ধার্থ মুখোপাধ্যায় বলেন, এবার ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মকে ব্যবহার করে কবিতা-গান-আবৃত্তির মাধ্যমে অনুষ্ঠান হবে। কলকাতা, বাংলাদেশ, ত্রিপুরার শিল্পীরা বাড়িতে থেকে অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। সেটা ওয়েবসাইট ও ফেসবুকের মাধ্যমে তুলে ধরা হবে।
আজ হাতেগোনা কয়েকজন মানুষ জোড়াসাঁকোয় গিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাবেন। এমনটাই জানিয়েছেন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সব্যসাচী বসু রায়চৌধুরীও। তিনি বলেন, নানা অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে উদযাপন করতে পারলে ভালো লাগত। কিন্তু এবছর স্বাস্থ্য-সুরক্ষার দিকটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
অন্যান্য বছর রবীন্দ্রসদনেও অনুষ্ঠান হয়। কিন্তু এবার তা বন্ধ রাখা হয়েছে বলে এক আধিকারিক জানান।
শান্তিনিকেতনে চলছে প্রস্তুতি। -নিজস্ব চিত্র