পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
কেন লাফিয়ে বাড়ছে খুনের ঘটনা? মনোবিদদের সঙ্গে কথা বলে তদন্তকারী অফিসারদের ধারণা, লকডাউনের জেরে কাজ হারিয়েছেন একটা বড় অংশের মানুষ। অলস মস্তিষ্ক নানা প্ররোচনা আর হিংসার উস্কানিও দিচ্ছে। তারই সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আর্থিক অনটন। সব মিলিয়ে গার্হস্থ্য হিংসা, দাম্পত্য কলহ থেকে শুরু করে সম্পত্তির জন্য ভ্রাতৃবিরোধও বেড়েছে এই পর্বে। পুরনো রাজনৈতিক শত্রুতাও মাথাচাড়া দিয়েছে এই সময়। উত্তরবঙ্গে এই প্রবণতা ক্রমেই বাড়ছে বলে পুলিস কর্তাদের ধারণা।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, খুনের ঘটনার সিংহভাগ ক্ষেত্রেই অভিযুক্ত ধরা পড়েছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, রাজনৈতিক খুনের বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বলি হয়েছে রাজ্যের শাসকদল। আবার কয়েকটি ক্ষেত্রে নিছক আত্মহত্যার ঘটনাকে খুন বলে চালিয়ে এই পর্বে রাজনৈতিক আসর গরম করাও হয়েছে। আধিকারিকরা বলছেন, করোনা আবহের এই সময়ে রুটিন কাজের বাইরে প্রচুর চাপ বেড়েছে উর্দিধারীদের। পুলিস অন্য কাজে ব্যস্ত থাকার সুযোগে কোথাও ব্যক্তি স্বার্থে, আবার কোথাও রাজনৈতিক আধিপত্য বজায় রাখার জন্য খুনোখুনির পথে হাঁটতে শুরু করেছে একটা অংশ। এদের নিয়ন্ত্রণে আনার বিভিন্ন পরিকল্পনা করা হয়েছে। থানা ভিত্তিক দুষ্কৃতীদের তালিকা তৈরি করে তাদের গতিবিধির উপর নজরদারিও শুরু হয়েছে। এরই সঙ্গে রাজ্যের যে সব এলাকায় এই মুহূর্তে রাজনৈতিক বাতাবরণ বেশ উত্তপ্ত, গোলমাল চলছে, এমন এলাকা ধরে ধরে কাজ করতে চাইছে পুলিস। এলাকা ভিত্তিক ম্যাপিংয়ের কাজ চলছে। যাতে সেখান থেকে তথ্য জোগাড় করে রাজনৈতিক খুনোখুনি ও হিংসা থামানোর উপায় বের করা যায়।