কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, আলিপুর আদালতে অন্ধ্রের মাও নেতা তেলুগু দীপকের মামলা একেবারে শেষ পর্যায়ে গিয়ে থমকে রয়েছে। সরকারি আইনজীবী নবকুমার ঘোষ জানান, ২০১০ সালে সরশুনা এলাকা থেকে ওই মাওবাদী নেতাকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি। তাঁর কাছ থেকে পাওয়া গিয়েছিল একটি একে ৪৭ রাইফেল, নগদ ৫৩ হাজার টাকা ও বেশ কিছু মাওবাদী পত্রপত্রিকা। ওই বছরই দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুর আমতলা থেকে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন মধুসূদন মণ্ডল সহ পাঁচ মাওবাদী বন্দি। ওই মামলাতেই অভিযুক্ত করা হয়েছিল তৎকালীন মাতঙ্গিনী মহিলা সমিতির এক নেত্রীকে। বর্তমানে ওই অভিযুক্ত জামিনে রয়েছেন। আলিপুরের ১৮ নম্বর দায়রা আদালতে চলা এই মামলায় অনেক আগেই সাক্ষ্যপর্ব শেষ হয়ে গিয়েছে। চলছিল মামলার সওয়ালপর্ব। কিন্তু পরবর্তী সময় লকডাউন ঘোষিত হওয়ার পরই ওই দুই মামলার শুনানি বন্ধ হয়ে যায়। সরকারি আইনজীবী মঙ্গলবার বলেন, করোনা পরিস্থিতি না থাকলে এতদিনে হয়ত চাঞ্চল্যকর এই দুই মাওবাদী মামলার নিষ্পত্তি হয়ে যেত। কিন্তু তা না হয়ে ওই দুই মামলার বিচার প্রক্রিয়া থমকে গিয়েছে। আদালত সূত্রের খবর, কলকাতা নগর দায়রা আদালতে চলছে একটি মাওবাদী মামলার শুনানি। সেই মামলায় রয়েছেন বেশ কয়েকজন অভিযুক্ত। সেই মামলার শুনানিও বন্ধ হয়ে পড়ে আছে। কবে থেকে ফের ওই মামলার শুনানি শুরু হবে, তা স্পষ্ট করে বলতে পারছেন না আইনজীবীরা। সরকারি আইনজীবীদের একাংশের বক্তব্য, যে কোনও মামলা শুনানি না হয়ে যদি দীর্ঘদিন পড়ে থাকে, তাতে মামলা কিছুটা হলেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অন্যদিকে, অভিযুক্তদের আইনজীবীদের একাংশের বক্তব্য, বিচার না পাওয়ার কারণেই ওই মাওবাদী বন্দিদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। মানবাধিকার সংগঠনের এক কর্তা বলেন, লকডাউনে যেখানে শুনানি হচ্ছে না, সেখানে কেন মাও বন্দিদের প্যারোলে ছাড়া হচ্ছে না? যদিও তা নিয়ে শহরের দুই জেল আধিকারিক বলেন, জেল কর্তৃপক্ষ তো বিচার করে না। তাই এ নিয়ে তাদের কিছু করণীয় নেই। তবে কোনও অঘটন যাতে না ঘটে, সেই কারণেই সতর্কতা হিসেবে বর্তমানে জেলের সমস্ত বন্দিদের উপরই নজরদারি রাখা হয়েছে। বিশেষ কোনও বন্দির উপর শুধুমাত্র ওই নজরদারি রাখা হয়নি।