বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
পকসো মামলার সরকারি আইনজীবীদের একাংশের বক্তব্য, যৌন নির্যাতনের শিকার হওয়া কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে আতঙ্ক ও ভয় ভীতি কাজ করে। আদালত কক্ষে অভিযুক্তের মুখোমুখি হলে সেই আতঙ্ক আরও বাড়ার সম্ভাবনা থেকেই যায়। বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকেন অভিভাবকরাও। সে ক্ষেত্রে এই নয়া ব্যবস্থা অভিযোগকারী পরিবারকেও কিছুটা হলে স্বস্তি দেবে। সরকারি সূত্রের খবর, কলকাতা সহ রাজ্যের প্রতিটি জেলা ও মহাকুমা পকসো আদালতে এই ব্যবস্থা চালু করার সবরকম প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে।
কীভাবে চলবে এই বিচার? জানা গিয়েছে, পকসো আদালতের মতোই প্রতিটি জেলেও থাকবে ভিডিও কনফারেন্সিং ব্যবস্থা। সেখানে জেলের একটি নির্দিষ্ট ঘরে সেল থেকে আনা হবে অভিযুক্তকে। মনিটরিং করার জন্য থাকবেন একজন অপারেটর। ওই ঘরের বাইরে থাকবে নিরাপত্তারক্ষী। মামলার শুনানি শুরু হলে বিচারক থেকে শুরু করে অভিযুক্ত ও সরকারপক্ষ যাতে একে অপরকে জায়েন্ট স্ক্রিনে দেখতে এবং কথা শুনতে পান, থাকবে তার সব ব্যবস্থাই। উভয় পক্ষের কথা শুনেই বিচারক সেই বক্তব্য নথিভুক্ত করার জন্য নির্দেশ দেবেন। যে কোনও মামলায় অভিযুক্তকে শনাক্ত করা বিষয়টি আসে। সে ক্ষেত্রে এজলাসে লাগানো জায়েন্ট স্কিনে ভেসে ওঠা অভিযুক্তের ছবি দেখেই নির্যাতিতরা তাকে শনাক্ত করবে। আদালত সূত্রের খবর, বিশেষ কোনও কারণে যদি ধৃতকে কোর্টে আনা জরুরি হয়ে পড়ে, সে ক্ষেত্রেও থাকছে কিছু প্রাসঙ্গিক ব্যবস্থা। জানা গিয়েছে, সে ক্ষেত্রে পকসো আদালতের মধ্যেই একটি পৃথক ঘরে অভিযুক্তকে নিয়ে আসা হবে। সেখানেও থাকবে পৃথক জায়েন্ট স্ক্রিন ও সাউন্ড সিস্টেম। পুরো বিচার প্রক্রিয়াটি শুনতে এবং প্রত্যক্ষ করতে পারবে অভিযুক্ত ব্যক্তি। বিশেষ কোনও প্রয়োজন হলে বিচারক নিজেই ওই ঘরে এসে ধৃতের সঙ্গে কথা বলবেন।