পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
এই বিধানসভা এলাকায় শাসকদলের অভ্যন্তরে ‘গেরুয়াপন্থী’ নেতাদের এখনও রেখে দেওয়া নিয়েই মূলত প্রশ্ন উঠেছে। দলের নিচুস্তরের কর্মীদের কথায়, বিজেপি-ঘেঁষা নেতাদের শনাক্ত করতে ব্যর্থ দলীয় নেতৃত্ব। হারের পর যাঁদের ষড়যন্ত্রকারী বলে চিহ্নিত করা হয়েছিল, তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করতেও ব্যর্থ শীর্ষনেতারা। যার জেরে এখনও একাধিক নেতা-কর্মী গেরুয়া শিবিরকে সমানতালে সাহায্য করে চলেছে।
পাশাপাশি, এলাকার যুবক-যুবতীদের একটা অংশ বিজেপির দিকে চলে গিয়েছে। ফলে বারাকপুর বিধানসভায় শাসক দলের অবস্থা খুব একটা ভালো নয় বলে দাবি নিচুতলার কর্মীদের। বারাকপুর টাউনের যুব তৃণমূলের সভাপতি উত্তম দাস বললেন, আমি বারবার বলেছি, এই বিজেপি-মার্কা তৃণমূল নেতাদের দল থেকে বের করে দিতে। কারণ, এঁরা এখনও বিজেপির সুবিধা করে দিয়ে যাচ্ছেন। আগামী বছর বিধানসভা ভোট, দলকে এটা বুঝতে হবে।
জেলা তৃণমূলের সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, যারা তৃণমূলে থেকে গেরুয়া শিবিরকে সাহায্য করেছিল, তাদের প্রত্যেককে চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এখনও সেই প্রক্রিয়া চলছে। তবে আগের তুলনায় এখন জেলায় দলকে আমরা গুছিয়ে নিয়েছি। বিজেপিতে যাঁরা গিয়েছিলেন, কতটা ভুল করেছিলেন, বুঝতে পেরে ফিরে আসছেন। যদিও বারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংয়ের কথায়, অনেক কিছুই রটিয়েছে তৃণমূল। আসলে হেরে গিয়ে ভুলভাল বকছেন ওদের নেতারা। কিন্তু মানুষ এখন তৃণমূলকে আর চান না, রাজ্যেও বদল চান তাঁরা। উল্লেখ্য, গত লোকসভা নির্বাচনে বারাকপুর বিধানসভা এলাকায় শাসকদলের প্রার্থী বিজেপি’র অর্জুন সিংয়ের থেকে প্রায় সাড়ে তিন হাজার ভোটে পিছিয়ে ছিলেন। বারাকপুর পুর এলাকায় তৃণমূল প্রায় ৮,৩০০ ভোটে এগিয়ে থাকলেও টিটাগড় পুর এলাকায় ১১,৫০০ ভোটে পিছিয়ে যায়। বারাকপুরের ২৪টি এবং টিটাগড়ের ২৩টি ওয়ার্ড নিয়ে বারাকপুর বিধানসভা। স্থানীয় নেতৃত্বের একাংশের কথায়, লোকসভা নির্বাচনে যাঁদের উপরে বেশি বিশ্বাস করে অর্জুন সিংকে হারানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, তাঁদের বেশিরভাগই ‘বিশ্বাসঘাতকতা’ করেছেন। এই বিষয়টি এবার দলীয় নেতৃত্বকে বুঝতে হবে। নইলে বিধানসভা নির্বাচনে ফের পচা শামুকে পা কাটার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাবে না।