রাহুল চক্রবর্তী, কলকাতা: তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস ২৮ আগস্ট পড়েছে লকডাউনের মধ্যে। ফলে ভার্চুয়াল সভা করা যায় কি না, সে নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা। পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়ার প্ল্যাটফর্মকে কাজে লাগিয়ে ৯ আগস্ট বিশেষ আলোচনাসভার উদ্যোগ নিয়েছে তৃণমূল মহিলা কংগ্রেস।
প্রতিবছর ২৮ আগস্ট ধর্মতলার মেয়ো রোডে সভা হয়। করোনা পরিস্থিতির জেরে এবার ওই সভা করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে নেতৃত্ব। ফলে ওইদিন ছাত্র শাখার বার্ষিক অনুষ্ঠান কীভাবে হবে, তা নিয়ে কৌতূহল তুঙ্গে। তৃণমূলের ছাত্র নেতা বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায় বলেন, করোনার মোকাবিলা আগে। তারপর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সভা সমাবেশ করার জন্য অনেক সময় পাওয়া যাবে। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য বলেন, দলের নির্দেশ মতো ২৮ তারিখ কর্মসূচি পালন করা হবে। আশা করছি, নেত্রী সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আমাদের আগামী পথ চলার দিশা দেবেন। একইভাবে সোশ্যাল মিডিয়ার প্ল্যাটফর্মকে হাতিয়ার করছে তৃণমূল মহিলা কংগ্রেস। ‘স্বাধীনতার মাস স্বাধীন আকাশ’ নামে একটি কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। ৯ আগস্ট ভার্চুয়াল আলোচনাসভা হবে বলে জানান মহিলা শাখার নেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। রাজ্যের প্রতিটি জেলায় তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের কর্মীরা যাতে তা শুনতে পারেন সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আলোচনাচক্রে যোগ দেবেন মৃণালিনী দত্ত মহাবিদ্যাপীঠ ও ভিক্টোরিয়া কলেজের দুই অধ্যাপিকা। এছাড়াও চলতি মাসের ৭ তারিখ পর্যন্ত চলছে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঘরোয়া আলোচনা। রাজ্যের নয় বছরের সরকারের উন্নয়নের কর্মসূচিকে তুলে ধরার জন্য তৃণমূলের মহিলা শাখা হাতিয়ার করছে হোয়াটসঅ্যাপকে। ১৬-৩১ আগস্ট পর্যন্ত একটি কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের কথায়, উন্নয়নের নিরিখে বাংলা কীভাবে এগিয়েছে, তা তথ্য সহকারে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরা
হবে। প্রত্যেক কর্মী ২০ জনকে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে
তা পাঠাবেন। এছাড়াও স্বাধীনতায় নারীর অবদানকে তুলে ধরা হচ্ছে।
অন্যদিকে, আগামী ২০ ও ২৮ আগস্ট প্রদেশ কংগ্রেসের ছাত্র পরিষদেরও সাংগঠনিক কর্মসূচি রয়েছে। তাই ওই দিনগুলিতে সম্পূর্ণ লকডাউন বাতিল করার আবেদন জানিয়ে নেতৃত্বের তরফে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।