বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
একইসুরে আপত্তি তুলেছে পশ্চিমবঙ্গ। বিরোধিতায় সরব হওয়ার পাশাপাশি শিক্ষাবিদদের নিয়ে ছয় সদস্যের কমিটিও গড়া হয়েছে। কমিটিতে রয়েছেন সাংসদ তথা অধ্যাপক সৌগত রায়, পুরাণবিদ নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ী, শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকার, সিলেবাস কমিটির প্রধান অভীক মজুমদার, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য সব্যসাচী বসু রায়চৌধুরী এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস। নয়া শিক্ষানীতি পর্যালোচনা করে রাজ্য সরকারকে রিপোর্ট দেবেন তাঁরা। শিক্ষাবিদ ও শিক্ষা সংক্রান্ত বিভিন্ন সংগঠনের কাছেও সরাসরি বা ই-মেলের মাধ্যমে মতামত চাওয়া হয়েছে। আগামী ১৫ আগস্ট পর্যন্ত তা নেওয়া হবে।
বিদেশি শিক্ষানীতি চাপিয়ে দেওয়া নিয়ে আগেই সরব হয়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এদিন শিক্ষামন্ত্রী আরও সুর চড়িয়ে বলেন, একটা নীতি তৈরি করল, আর পরদিন থেকেই সেটা পালিত হবে! এটা তুঘলকি কাণ্ড! এরকম হয় না। পার্থবাবুর কথায়, ‘আমাদের আপত্তির কথা প্রথমে লিখিতভাবে জানিয়েছিলাম। এটা সংবিধানের যুগ্ম তালিকার বিষয়। প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন সবার সঙ্গে কথা বলব। কিন্তু আমাদের সঙ্গে কোনও কথা বলা হয়নি।’ তবে রাজ্যের আশা, তাদের বক্তব্য শুনে কেন্দ্র মতামত দেবে।
দক্ষিণ ভারতের অন্য রাজ্যগুলিতেও ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। কয়েকদিন আগে কেরল সরকার কেন্দ্রকে জানিয়েছে, শিক্ষানীতির অস্পষ্টতা দূর করতে কোন নির্দেশিকা কীভাবে প্রয়োগ করা হবে, সেটা জানানো হোক। পাশাপাশি পিনারাই বিজয়ন সরকারের আরও অভিযোগ, ‘আমরা একঝাঁক সুপারিশ করেছিলাম। সেগুলি অমান্য করা হয়েছে। তাই এই শিক্ষানীতি সামগ্রিকভাবে মেনে নেওয়া সম্ভব নয়।’ বিষয়টি নিয়ে কেরল মন্ত্রিসভা ইতিমধ্যেই উচ্চপর্যায়ের বৈঠক ডেকেছে।
তেলেঙ্গানায় যাবতীয় সরকারি ও বেসরকারি স্কুলের পক্ষ থেকে ত্রিভাষা সূত্র নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে। সেই রাজ্যেও প্রাথমিক বিভাগে তেলুগু ও ইংরেজি ভাষা পড়ানো হয়। সেখানে তৃতীয় একটি ভাষাকেও আবশ্যক করার প্রস্তাব নিয়ে তীব্র অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
রাজ্যগুলি থেকে একের পর এক চিঠি ও প্রতিবাদের সুর টের পেয়ে প্রবল চাপে পড়েছে কেন্দ্র। রবিবার কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল সব পক্ষকে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেছেন। তিনি বলেছেন, কোনও ভাষাই জোর করে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে না। এই নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার অধিকার রয়েছে রাজ্যগুলির। ত্রিভাষা সূত্র নিয়ে সব স্তরে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তবে কোনও বিভ্রান্তির উৎপত্তি হলে, অবশ্যই আলোচনা করা হবে। কিন্তু আঞ্চলিক ভাষাকে সরিয়ে জোর করে হিন্দি চালু করানোর কোনও প্রয়াস কেন্দ্রীয় সরকারের নেই।