বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
কাজ শুরুর তিন মাসের মধ্যেই ২৮৮ কিমি রাস্তা সম্পূর্ণ করেছে পঞ্চায়েত দপ্তর। কাজ হয়েছে কলকাতা ছাড়া রাজ্যের ২২টি জেলায়। রাজ্য-কেন্দ্রের ভাগাভাগিতে খরচ হয়েছে মোট ৪১৪ কোটি টাকা। ২০২০-২০২১ অর্থবর্ষে মোট দু’হাজার কিমি রাস্তা তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে দপ্তর। অন্যদিকে, লকডাউনের ধাক্কায় চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ধাপে রাস্তা নির্মাণে পিছিয়ে পড়েছে বহু রাজ্য। মোদি-শাহের গুজরাতে রাস্তা নির্মাণের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৭০০ কিমি। কাজ হয়েছে মাত্র ২ কিমি’র কিছু বেশি। উত্তরপ্রদেশে নির্মিত হয়েছে প্রায় ২২০ কিমি রাস্তা। উত্তরাখণ্ডে ১৬৭, মধ্যপ্রদেশে ২৬৩, পাঞ্জাবে ১০ এবং অসমে ১০৪ কিলোমিটার রাস্তা তৈরি হয়েছে। বাংলার সঙ্গে সেয়ানে সেয়ানে টক্কর দিচ্ছে অবশ্য বিহার। লকডাউনের সময়ে মাত্র ১৫ কিমি রাস্তা বেশি নির্মাণ করেছে পড়শি রাজ্য। এই সাফল্যের পিছনে নীতীশ কুমারের ভোট-রাজনীতির অঙ্ক দেখছেন বিশ্লেষকরা।
প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ির স্বপ্ন প্রকল্প ছিল ‘প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক যোজনা’। আনুষ্ঠানিক সূচনা হয় ২০০০-২০০১ আর্থিক বছরে। প্রথম দিকে রাস্তা নির্মাণে মোট বরাদ্দের ৯০ শতাংশ দিত কেন্দ্র। বাকি ১০ শতাংশ রাজ্যের। কিন্তু নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেই কেন্দ্রের ভাগ কমিয়ে করেন ৬০ শতাংশ। মূলত এই কারণেই প্রকল্পের নাম পরিবর্তনে উদ্যোগী হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্ভবত ২০১৬ সাল থেকে রাজ্যে গ্রামীণ রাস্তা নির্মাণের কাজ শুরু হয় ‘গ্রামীণ সড়ক যোজনা’ নামে। ২০১১ সালে রাজ্যে ক্ষমতায় আসেন মমতা। সেই থেকেই গ্রামীণ এলাকার উন্নয়নে রাস্তা নির্মাণের কাজে গতি আসে। তথ্য বলছে, এখন পর্যন্ত রাজ্যে মোট রাস্তা নির্মিত হয়েছে ৩৪ হাজার ৫০০ কিমি। শুধুমাত্র মমতার জমানাতেই নতুন রাস্তা হয়েছে ২৪ হাজার কিমি।