পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে এখন রেশনে চালের পর্যাপ্ত জোগান। আর এই কারণেই মাছি তাড়াচ্ছে খোলা বাজার। খদ্দের নেই বললেই চলে। যেটুকু বিক্রি, তা মূলত সরু চাল। ফাইন রাইসও কম বিক্রি হচ্ছে। এই খদ্দেরকুলের বেশিরভাগটাই আজ বিনামূল্যের রেশন-চালে অভ্যস্ত। লকডাউনের আগে কমন রাইস অর্থাৎ মোটা চালের দাম ছিল ২৮ টাকা। এখন তা কমে কেজি প্রতি ২৪ টাকা। মিনিকিট চালের দামও কেজিতে কমেছে দুই থেকে তিন টাকা। এক চাল বিক্রেতা বলেন, রেশনে জোগান পর্যাপ্ত হওয়ায় মোটা চালের খদ্দের একদম নেই। আগে তবুও সরু চাল বিক্রি হতো। এখন সেটাও কমে গিয়েছে। সারা জীবন যাঁরা সরু চাল কিনে খেয়েছেন, তাঁরাও রেশনের চাল তুলছেন। তাতেই সরু চাল মিশিয়ে নিচ্ছেন। এখন হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি, ‘কারও পৌষ মাস, কারও সর্বনাশ’ কথাটা কত সত্যি।
সবচেয়ে বড় কথা, মার্চ মাসে দেশজুড়ে আচমকা লকডাউন শুরু হওয়ার পর চারদিকে যে ত্রাহি ত্রাহি রব শুরু হয়েছিল, জনমোহিনী কৌশলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তা একধাক্কায় স্তিমিত করে দিয়েছেন। প্রত্যেকের জন্য বিনামূল্যে রেশন, এটাই ছিল মুখ্যমন্ত্রীর ভাবনা। শুধু রেশনে নয়, নানা প্রকল্পেই দেওয়া হচ্ছে চাল ও আটা। উদরপূর্তির পরেও বাড়িতে থেকে যাচ্ছে চাল। নুন আনতে পান্তা ফুরানোর সংসারেও মা লক্ষ্মী রয়েছেন ঘর আলো করে। তাই প্রথমদিকে দেড়-দু’মাসের চাল মজুতের যে ব্যস্ততা ছিল, তা আর নেই। তখন কিন্তু ঝোপ বুঝে কোপ মেরেছিলেন একাধিক ব্যবসায়ী। চালের দাম কেজি প্রতি বেড়েছিল তিন থেকে চার টাকা। তবে তা বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই ফিরে এসেছিল নিজের জায়গায়।
আর তাই এখন বেশিরভাগ চালের দোকানেই মাছি তাড়ানোর অবস্থা। অথচ কিছুদিন আগেও এই সব দোকানে ভিড় থাকত মোটা চালের খদ্দেরদের। অভাবী অনেকেই খোঁজ করতেন ক্ষুদের (ভাঙা চাল)। সেই সব দোকানে এখন তাঁদের কেউ কেউ আসছেন। তবে হাতে তাঁদের চাল ভর্তি ব্যাগ। বাড়িতে জমে যাওয়া রেশনের উদ্বৃত্ত চাল বিক্রি করে সেই টাকায় অনেকেই বাজার করছেন। ছবিটা সত্যিই উল্টে গিয়েছে।
রাজ্যের সবচেয়ে বেশি রাইস মিল বর্ধমান জেলায়। আগের তুলনায় ৪০ ভাগ চালও বাজারে বিক্রি হচ্ছে না। তাতে চাল বিক্রেতাদের পাশাপাশি বিপাকে পড়েছে রাইস মিল শিল্পও। বেশিরভাগ মিল মালিকই কর্মী কমিয়ে কোনও রকমে টিকে আছেন।