পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
কাকদ্বীপের কৃষক খয়রুল আনম শেখ ও অন্যান্যদের তরফে আইনজীবী নূর ইসলাম সেখ ও শমীক বাগচি আদালতকে জানান, আদালত চাইলে দুই ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরের অন্তত এক লক্ষ এমন মানুষের হদিশ মিলবে, যাঁরা আবেদন করা সত্ত্বেও ক্ষতিপূরণ পাননি। বাড়ি, জমি নষ্ট হওয়া সত্ত্বেও সরকারি ত্রাণ তাঁরা আবেদন করেও পাননি। অথচ, পাকা বাড়ির বাসিন্দারা দিব্যি ত্রাণ পেয়েছেন। অথচ, তাঁরা ত্রাণ পাওয়ার জন্য কাকদ্বীপ, নন্দীগ্রাম, হিঙ্গলগঞ্জ ইত্যাদি বিডিও অফিসে যখন এই নিয়ে বলতে গিয়েছেন, তখন পুলিস দিয়ে হেনস্থা করা হয়েছে। আবেদনগুলি সত্যি না মিথ্যা, তা তদন্ত করে দেখারও দরকার মনে করা হয়নি। এমনকী ঢোলারহাট থানা এলাকার নেতাজি গ্রাম পঞ্চায়েতে ত্রাণ পাওয়ার যে সমস্ত আবেদন জমা পড়েছিল, সেগুলি চুরি হয়ে গিয়েছে বলে জানানো হয়। তথ্য জানার অধিকার আইন অনুযায়ী ত্রাণ না পাওয়া প্রসঙ্গে সরকারি দপ্তরে আবেদন করা হলেও, অধিকাংশ জায়গা থেকে কোনও জবাব পাওয়া যায়নি বলে তাঁরা জানান। তাই মামলাকারী চান, কেন সঠিকভাবে ত্রাণ দেওয়া হল না, তার কারণ জানানো হোক। কত জন ত্রাণ পেতে আবেদন করেছেন, কত টাকা আবেদনকারীদের দেওয়া হয়েছে, তা আদালতকে জানানো হোক। সম্পর্কিত তথ্যও আদালতে জমা দিতে বলা হোক। কোনও প্রাক্তন হাইকোর্ট বিচারপতিকে দিয়ে ত্রাণ বন্টনের নথি পর্যালোচনা করানো হোক। কেন বহু আবেদনকারীর আবেদন ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে, তার কারণ জানাতে বলা হোক। এমন আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বেঞ্চ বলেছে, বিষয়টি বিপর্যয় মোকাবিলা আইনের চৌহদ্দিতে পড়ছে। তাই রাজ্যের এমন কর্তৃপক্ষকে এই মামলায় যুক্ত করা দরকার। তাই রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের প্রধান সচিব মারফত ওই দপ্তরকে যুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হল।