গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
রবিবার শহরের বিভিন্ন প্রসিদ্ধ মিষ্টির দোকানগুলিতে ঘুরে দেখা গেল, মহামারীর আতঙ্ক ভুলে রাখীর ব্যবসা নিয়ে যথেষ্ট সচেতন কর্ণধাররা। দক্ষিণ কলকাতার বলরাম মল্লিক এবং রাধারমণ মল্লিকে এদিন সকাল থেকেই মিষ্টি কেনার ধুম। স্বাস্থ্যবিধি এবং সামাজিক দূরত্ব রেখেই রাখী স্পেশাল মিষ্টি খুঁজছেন ক্রেতারা। কর্ণধার সুদীপ মল্লিক জানালেন, ক্রেতার চাহিদা বুঝে চলতি পরিস্থিতিতেও বেশ কিছু নতুন চমক রয়েছে। যার মধ্যে রাখী ছাপা সন্দেশ, বাখলাবা, সীতাফল সন্দেশ, ডাব সন্দেশ, ম্যাঙ্গো জিলাটো ইত্যাদি পাঁচ-সাত রকমের স্পেশাল মিষ্টি রয়েছে। অন্যান্য দিন বিক্রি কিছুটা কম থাকলেও এদিন সকাল থেকেই তা প্রায় ৩০ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে।
ভরদুপুরের কে সি দাস। অফিসপাড়া ছুটি থাকায় ধর্মতলা মোড় সংলগ্ন দোকানটিতে রাখীর বিক্রি যেন কিছুটা হলেও স্তিমিত। তবে সোমবার সকালে মিষ্টি কেনার ধুম নিয়ে আশাবাদী দোকানের মালিক ধীমান দাস। তিনি বলেন, করোনার প্রকোপে মিষ্টি ব্যবসায় ভয়ানক ক্ষতি হয়েছে। লকডাউনের আগের তুলনায় বিক্রি ১৫ শতাংশ পড়ে গিয়েছে। উত্তর কলকাতার এক জনপ্রিয় মিষ্টির দোকানেও এদিনর ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। সেখানেও তৈরি হয়েছে নানাবিধ রাখী স্পেশাল। এক ক্রেতা তো মজা করে বলেই ফেললেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি এবং সুগার-বিধি মেনে চললে দোকান থেকে মিষ্টি কিনে খেতে ক্ষতি কি! সে রাখী হোক বা নাই হোক। মিষ্টি ইজ অন।’
বিশেষ রাবড়ি তৈরি করেছে রিষড়ার ফেলু মোদকও। ব্যবসার অন্যতম কর্ণধার অমিতাভ দে-র কথায়, কাজুবাদামকে বেকিং মেশিনে শুকিয়ে, কেশর মিশিয়ে এক ধরনের রাবড়ি তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি থাকছে ক্ষীরকান্তি নামে একটি সন্দেশ, যা রাজা রামমোহন রায়ের টুপির মত দেখতে। আর অমৃতি ছাড়া রাখী পূর্ণিমা অসম্পূর্ণ। আমরা সেই মিষ্টিও রেখেছি, সঙ্গে থাকছে আম বা কাঁঠালের তৈরি নানা সন্দেশ।
ভার্চুয়াল বাধ্যবাধকতা যতই থাকুক, মিষ্টির ‘রসে বঞ্চিত’ হলে বাঙালির বাঙালিয়ানাই যে সঙ্কটে পড়ে যাবে!- নিজস্ব চিত্র