বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
প্রসঙ্গত, মে মাসের গোড়া থেকে এই থেরাপি চালুর প্রস্তুতি চলে রাজ্যে। ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব কেমিক্যাল বায়োলজি, স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিন, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ এবং আইডি হাসপাতাল যৌথভাবে সমীক্ষায় অংশ নিয়েছে। মে মাসের শেষদিকে করোনা জয়ী হাবড়ার তরুণী মেডিক্যালের রক্ত সংবহন বিভাগে গিয়ে প্রথম কনভালসেন্ট প্লাজমা দান করেন। সেই প্লাজমা আইডি’র পজিটিভ রোগীকে দেওয়ার মাধ্যমে শুরু হয় থেরাপির প্রয়োগ।
পদস্থ সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত এই র্যান্ডমাইজড কন্ট্রোল ট্রায়ালে প্রায় ২৪ জন রোগী শামিল হয়েছেন। খুব বেশি ঝুঁকিপূর্ণ রোগীদের না নিয়ে মডারেট বা মাঝারি উপসর্গ থাকা রোগীদের ১২ জন করে দুটি দল করে গবেষণা হয়েছে। অর্থাৎ ১২ জন রোগী করোনা জয়ীদের প্লাজমা পাচ্ছেন। বাকি ১২ জনের প্রচলিত পথে করোনা চিকিৎসা হচ্ছে। দুই সেটের রোগীদের ক্ষেত্রেই অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ডিসট্রেস সিনড্রম বা এআরডিএস সহ বেশ কিছু একই ধরনের উপসর্গ এবং শারীরিক অবস্থা রয়েছে। এই দুই দল নিয়ে ৪০ এবং ৪০ জনের সেটে সমীক্ষা সম্পূর্ণ হলে তখন পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে। আপাতত ২৪ জনের রোগীর প্রাথমিক রিপোর্টে ৫০ শতাংশের বেশি সাফল্য মিলেছে।
তাহলে কি ব্যর্থতা আসেনি? চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এসেছে। আবার এই দ্বিতীয় সেটের রোগীদের একাংশ প্লাজমা ছাড়া প্রচলিত চিকিৎসায় সেরে উঠেছেন। তাহলে লাভ কি এই থেরাপির? চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য লাভ হল, করোনা জয়ীদের প্লাজমা পাওয়া রোগীরা প্রচলিত চিকিৎসা পাওয়া রোগীদের তুলনায় দ্রুত সেরে উঠছেন। এই ট্রায়ালের ছোট ছোট ব্যর্থতাও বড় শিক্ষা দেবে, বুঝিয়ে দেবে, কোন ধরনের রোগী প্লাজমায় সাড়া দিচ্ছেন না এবং কেন? তাঁদের ক্ষেত্রে সরকার করোনার অন্য কোনও চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারবে।