বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
শিক্ষাসচিব মনীশ জৈন শুক্রবার একটি নির্দেশিকায় জানিয়েছেন, ৩১ আগস্ট পর্যন্ত কলেজ, হস্টেল প্রভৃতি বন্ধ থাকলেও ভর্তি প্রক্রিয়া চালানোর জন্য শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীদের ছাড় দেওয়া থাকবে। অর্থাৎ প্রয়োজনে তাঁদের কলেজে যেতে হতে পারে। বহু অধ্যক্ষ সেটাকেই শিক্ষকদের সবাইকে কলেজে আসার আবশ্যিক নির্দেশ বলে ধরে নিয়েছেন বা সেই মতো ব্যাখ্যা করছেন বলে অভিযোগ। শিয়ালদহ অঞ্চলের বেশ কয়েকটি কলেজ থেকে সমস্ত শিক্ষক এবং শিক্ষকর্মীকে শনিবার মোবাইলে মেসেজ পাঠিয়ে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে খবর। ১০ আগস্ট শুরু হচ্ছে ভর্তি প্রক্রিয়া। সেদিন থেকেই তাঁদের আসার জন্য বলা হয়েছে।
তবে এটাকে কিছুটা আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত বলে মনে করছেন অন্যান্য বেশ কিছু কলেজের অধ্যক্ষ। তাঁদের বক্তব্য, ভর্তির কাজের জন্য অ্যাডমিশন কমিটির সঙ্গে যুক্ত শিক্ষকদের এলেই তো চলবে। তাও প্রতিদিন আসতে হবে এমন নয়। কারণ ভর্তি প্রক্রিয়া অনলাইনে চলবে। সেক্ষেত্রে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে কাজকর্মের সুযোগ রয়েছে। সব শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীই যদি কলেজে আসেন, তাহলে তো টিচার্স রুমে কুলোবে না। উল্টে, রোগ ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা বহুগুণ বেড়ে যাবে। তাতে প্রয়োজনের সময় লোকবলের অভাবে ভুগতে হতে পারে কলেজগুলিকে।
কী বলছেন অধ্যক্ষরা, যাঁরা এই নির্দেশ পাঠাচ্ছেন? বঙ্গবাসী (ডে) কলেজের অধ্যক্ষ শিবপ্রসাদ দাস যেমন বলেন, শিক্ষক এবং শিক্ষা কর্মীদের অনন্তকাল ছুটি এমন তো নয়। প্রয়োজনে সবাইকেই আসতে হবে। অ্যাডমিশন ছাড়াও বিভিন্ন রকম কাজ জমে রয়েছে। তবে অ্যাডমিশন কমিটির বৈঠকে তো সমস্ত শিক্ষককেই আসতে হবে। একদিন কেউ আসতে পারল না, সেটা আলাদা ব্যাপার। আমি নিজে ৬১ বছর বয়সি হয়ে কলেজে আসতে পারলে বাকিরা পারবে না কেন?