বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
ক্যাম্পাসের বাইরে অনলাইনে ক্লাস করায় একাধিক সংস্থা। মূলত পেশাগত কোর্স। এ বিষয়ে বিশ্বের অন্যতম নামজাদা একটি মার্কিন প্রতিষ্ঠান পাখির চোখ করেছে ভারতকে। এদেশের একাধিক রাজ্যে তারা বিভিন্ন ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে বিভিন্ন কোর্স নিয়ে হাজির হয়েছে। যেহেতু ওই সংস্থাটির সঙ্গে পৃথিবীর নানা প্রান্তের বিখ্যাত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির গাঁটছড়া আছে, তাই পড়ুয়ারা বাড়ি বসে বিদেশি কোর্স করতে পারেন। মাধ্যম হবে সংস্থাটি, কিন্তু সফল ছাত্রছাত্রীরা শংসাপত্র পাবেন বিখ্যাত প্রতিষ্ঠানের। করোনায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দরজা বন্ধ থাকায় কিছুটা হলেও বেশি সময় হাতে থাকছে পড়ুয়াদের। আর সুযোগসন্ধানীরা কোনওমতেই এ সুযোগ হাতছাড়া করছেন না। বিনামূল্যের বেশি কিছু প্রফেশনাল কোর্সের জন্য ইতিমধ্যেই আবেদন নেওয়া শুরু হয়েছে। ক্লাসও শুরু হয়েছে একাধিক কোর্সে।
কোন কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কোর্স করাচ্ছে এরাজ্যে? আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে রয়েছে ইয়েল ইউনিভার্সিটি, আরিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটি, কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটি, ডিউক ইউনিভার্সিটি, জর্জিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি, জনস হপকিন্স, নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব শিকাগো, স্ট্যানফোর্ড, ইউনিভার্সিটি অব মিশিগান, ইউনিভার্সিটি অব ফ্লোরিডা প্রভৃতি। এগুলির পাশাপাশি আছে ব্রিটেন, ফ্রান্স, ডেনমার্ক, জার্মানি, চীন, অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুর, জাপান, দক্ষিণ আফ্রিকা সহ মোট ৫০টি দেশের নামজাদা বিশ্ববিদ্যালয়। রয়েছে প্রায় সাড়ে চার হাজার কোর্সে অংশগ্রহণের সুযোগ। তালিকায় আছে ডিগ্রি কোর্সও। তবে সব কোর্সই বিনামূল্যে নয়। বেশ কিছুর জন্য টাকা জমা করতে হচ্ছে। তাতেও অবশ্য পিছু হটছেন না পড়ুয়ারা।
এরাজ্যে বিনামূল্যের অনলাইন কোর্সগুলির মধ্যে রয়েছে বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, ডেটা সায়েন্স, কম্পিউটার সায়েন্স, ইঞ্জিনিয়ারিং, সোশ্যাল সায়েন্স, ইনফরমেশন টেকনোলজি প্রভৃতি। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাপাশি এখানকার ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ম্যানেজমেন্ট কলেজগুলিতেও কোর্সের সুযোগ রয়েছে।
কতটা সফল এই ধরনের অনলাইন কোর্স? কলকাতাসহ এরাজ্যের নানা প্রান্তে বিভিন্ন কোর্স করানো হয়, যেগুলি সরাসরি চাকরির বাজারে কাজে লাগে। ফলে কাজের আশায় কলেজ গণ্ডির বাইরে গিয়ে অনলাইনে সেসব কোর্স করেন হাজার হাজার পড়ুয়া। কোর্সগুলির জন্য খরচও করতে হয় হাজার হাজার টাকা। কিন্তু যেহেতু এখন ছাত্রছাত্রীরা সেগুলি বিনা পয়সায় করার সুযোগ পাচ্ছেন, তাই মাছি তাড়াতে হচ্ছে সেই সব বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে। তাঁরা বলছেন, কোর্স শেষে শুধু যে তাবড় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সার্টিফিকেটই জুটছে, তা নয়। যে সংস্থার হাত ধরে কোর্সগুলি হচ্ছে, তার সঙ্গে গাঁটছড়া আছে বিশ্বের প্রথম সারির কোম্পানিগুলির। কোর্স শেষে চাকরির প্রতিশ্রুতি না থাকলেও, কাজের সুযোগ যে একেবারেই থাকছে না, তা নয়। যাঁরা দক্ষ, তাঁদের কাজের বাজার উজ্জ্বল।