পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
গত বছরই দেশের এক লক্ষ বা তার অধিক জনসংখ্যার পুরসভাগুলিকে সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট রুলস, ২০১৬ চালু করার নির্দেশ দিয়েছিল ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনালের প্রধান বেঞ্চ। বলা হয়েছিল, বাড়ি থেকে বর্জ্য সংগ্রহ, পৃথকীকরণ, ডাস্টবিন বসানো, রাস্তার আবর্জনা সাফাই এবং প্লাস্টিক বন্ধ করার কথা। নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে নির্দেশ রূপায়ণ হয়নি। অন্তত বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ের কাছে দক্ষিণ দমদমের রাজীবনগরে জঞ্জাল জড়ো করার ক্ষেত্রে তো বটেই। তার জেরে চলতি মাসেই রাজ্য সরকারকে এক কোটি টাকা অন্তর্বর্তী পরিবেশ ক্ষতিপূরণ জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল। এরপরেই আদালতের নির্দেশ মেনে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আরও বেশি উদ্যোগী হয়েছে সরকার।
এর আগে আটটি পুরসভায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ‘পাইলট প্রকল্প’ গড়ার কাজ শুরু করার নির্দেশ দিয়েছিলেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। সেই উদ্যোগ আরও বাড়াতে এবার রাজীবনগরের কাছে প্রমোদনগর, হুগলির বৈদ্যবাটি, নিউটাউনের পাথরঘাটা এবং উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরে প্রকল্প গড়ার কাজ শুরু হয়েছে। এর মধ্যে প্রমোদনগরে সবথেকে বড় প্রকল্পটি হবে। ১০৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে এই কেন্দ্র গড়তে ইতিমধ্যেই ২০ বছরের মেয়াদে টেন্ডারের প্রক্রিয়া শেষ করা হয়েছে। এই প্রকল্পে উপকৃত হবে দক্ষিণ দমদম, উত্তর দমদম, দমদম, বরানগর, কামারহাটি সহ মোট আটটি পুরসভা। বৈদ্যবাটিতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ইউনিট গড়তে খরচ হবে ৬০০ কোটি টাকা। মোট আটটি পুরসভা এর অধীনে থাকবে। নিউটাউন কলকাতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এলাকায় পাথরঘাটার প্রকল্পটির সুবিধা পাবে বিধাননগর, নবদিগন্ত এবং কলকাতার ২১টি ওয়ার্ড। খরচ হবে ৪০০ কোটি টাকা। অশোকনগরের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কেন্দ্রটি তুলনামূলকভাবে ছোট হবে। এক্ষেত্রে ১৫০ কোটি টাকা খরচ ধার্য করা হয়েছে। মোট তিনটি পুরসভার বর্জ্য এখানে জড়ো করা হবে। পাশাপাশি রাজ্যজুড়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে ৮০ লক্ষ ডাস্টবিন বিলির কাজ হবে।
পরিবেশ ও পুর দপ্তরের সূত্র বলছে, আদালতের নির্দেশ অনযায়ী জৈব এবং অজৈব বর্জ্যকে আলাদা করতে হবে। অজৈব বর্জ্য পুনর্ব্যবহারের উপযোগী। তৃণমূল সরকারের আমলে বর্জ্যের চাপ মোকাবিলায় পরিবেশ বিধি মেনে পরিকল্পনা শুরু হয়েছে। এখন ভাগাড়ে আবর্জনা ডাঁই করা যায় না। শহরে নতুন পরিকাঠামো গড়ে তোলার পাশাপাশি তাই জঞ্জাল অপসারণই এখন সরকারের প্রাথমিক লক্ষ্য।