বিতর্ক-বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম-পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থোপার্জনের সুযোগ।প্রতিকার: অন্ধ ব্যক্তিকে সাদা ... বিশদ
উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে বর্ষার প্রথম থেকেই বেশি বৃষ্টি হচ্ছে। জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার প্রভৃতি জেলায় মাত্রাতিরিক্ত বৃষ্টি হয়েছে। স্বাভাবিকের থেকে ১৯ শতাংশ কম বৃষ্টি হলে আবহাওয়াগত বিচারে তাকে ঘাটতি হিসেবে ধরা হয়। আবার একইভাবে ১৯ শতাংশ বা তার বেশি বৃষ্টি হলে তাকে অতিরিক্ত হিসেবেই ধরা হয়। বর্ষাকালে (জুন থেকে সেপ্টেম্বর) সব জেলায় বৃষ্টির হারের উপর বিশেষ নজরদারি চালায় কৃষি দপ্তর। বিভিন্ন পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে কৃষি দপ্তরের আধিকারিকরা এই সময়ে সাপ্তাহিক রিপোর্ট তৈরি করেন। লকডাউনের মধ্যেও সেই কাজ হয়েছে।
১৪ জুলাই পর্যন্ত দুই মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি ও দুই ২৪ পরগনায় বৃষ্টির ঘআটতি ছিল ১৯ শতাংশের বেশি। এর মধ্যে পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও হাওড়া জেলায় ঘাটতি ৩০ শতাংশের বেশি ছিল। কৃষি দপ্তর ২২ জুলাই পর্যন্ত বৃষ্টির যে প্রাথমিক রিপোর্ট পেয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, সব জেলাতেই ঘাটতি কমেছে। পূর্ব মেদিনীপুরে ঘাটতি ৫৯ শতাংশ থেকে কমে ৪৯ শতাংশ, পশ্চিম মেদিনীপুরে ৩৬ শতাংশ থেকে কমে ১৬ শতাংশ, হাওড়ায় ৩৪ শতাংশ থেকে কমে ২৪ শতাংশ হয়েছে। হুগলিতে ১৪ জুলাই পর্যন্ত ২৭ শতাংশ ঘাটতি ছিল। ২২ জুলাইয়ের হিসেবে তা স্বাভাবিকের থেকে ছয় শতাংশ বেশি হয়েছে। দুই ২৪ পরগনায়ও ঘাটতি কমেছে। কৃষি দপ্তরের প্রধান আবহাওয়াবিদ ডঃ মৃণাল বিশ্বাস জানিয়েছেন, এই সব জেলায় এখন ভালো বৃষ্টি হচ্ছে বলে রিপোর্ট আসছে। তাই জুলাই মাসের শেষে ঘাটতি আরও কমবে বলে তাঁর আশা। রাজ্যে ধান উৎপাদনে এগিয়ে থাকা বর্ধমান, বীরভূম, বাঁকুড়া ছাড়াও কয়েকটি জেলায় স্বাভাবিকের থেকে বেশি বৃষ্টি হওয়ায় কৃষি বিশেষজ্ঞরা খুশি। উত্তরবঙ্গের দুটি ছাড়া সব জেলাতেই জুলাইয়ে অতিরিক্ত বৃষ্টি হয়েছে। মালদহ ও উত্তর দিনাজপুরে বৃষ্টির পরিমাণ স্বাভাবিক।