কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
ক্লার্কশিপের প্রাথমিক পরীক্ষায় এবার সবচেয়ে বেশি সংখ্যক চাকরিপ্রার্থী সফল হয়েছেন। প্রশাসনের বহু শীর্ষ কর্তাই স্বীকার করেছেন, সচারাচর এত বেশি সফল প্রার্থী চূড়ান্ত পরীক্ষায় বসার ছাড়পত্র পান না। অতীতের বহু নিয়োগ পরীক্ষায় ছাড়পত্র পাওয়ার সংখ্যা অর্ধেকেরও কম ছিল। ব্যতিক্রম হতে চলেছে এবারের ক্লার্কশিপ পরীক্ষা। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠেছে, তা হলে কি এবার অনেক বেশি নিয়োগ করা হবে? সূত্রের খবর, সাধারণত মোট শূন্যপদের তুলনায় ১০ থেকে ১৫ গুণ বেশি সফল প্রার্থীকে চূড়ান্ত পরীক্ষায় বসার জন্য ডাকা হয়। বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে এই মুহূর্তে যা শূন্যপদ, সেই নিরিখে ৬ হাজারের বেশি নিয়োগও হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
পিএসসি সূত্রে অবশ্য বলা হচ্ছে, প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ তাদের। নিয়োগের বিষয়টি পুরোপুরি সরকার দেখে। ফলে মোট কতজনকে শেষ পর্যন্ত নিয়োগ করা হবে, সেটা সরকারই ঠিক করবে। এমনকী, কত সংখ্যক শূন্যপদে নিয়োগের পরীক্ষা নেওয়া হবে, সেটাও পিএসসিকে প্রথমে বলা হয়নি। পিএসসি তরফে আরও বলা হয়েছে, এবারে বহু সংখ্যক পরীক্ষার্থী প্রাথমিক পরীক্ষায় একই নম্বর পেয়েছেন। ফলে সফল পরীক্ষার্থীর সংখ্যা অনেক বেড়ে গিয়েছে। সেক্ষেত্রেও বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠছে, যোগ্যতা নির্ধারক নম্বর (কাট অব মার্কস)-এর সীমা বাড়িয়ে বাড়িয়ে তো প্রাথমিক পরীক্ষায় সফল পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমাতে পারত পিএসসি?
ক্লার্কশিপের প্রাথমিক পরীক্ষা হয় গত ২৫ জানুয়ারি। অঙ্ক, ইংরেজি ও জেনারেল নলেজের উপর ১০০ নম্বরের মাল্টিপল চয়েসের প্রশ্ন ছিল। পিএসসি জানিয়েছে, সাধারণ বা অসংরক্ষিত পরীক্ষার্থীরা ৬৫ পর্যন্ত পেয়ে প্রাথমিক পরীক্ষায় সফল হয়েছেন। তফসিলি জাতি ও উপজাতি পরীক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে সফল হওয়ার ন্যূনতম নম্বর ছিল যথাক্রমে ৪৮.৬৭ ও ২৯.৬৭। ওবিসি-এ এবং বি শ্রেণীর জন্য ছিল যথাক্রমে ৪৩ ও ৫৬.৩৩। এই হিসেবে মোট ৬৬ হাজার ৪৯২ জন লিখিত চূড়ান্ত পরীক্ষায় বসার সুযোগ পেয়েছেন। পরীক্ষায় বসেছিলেন প্রায় ৬ লক্ষ পরীক্ষার্থী।
এবার সফল পরীক্ষার্থীদের ইংরেজি, বাংলা, হিন্দি, নেপালি, উর্দু এবং সাঁওতালির মধ্যে যে কোনও একটি ভাষার উপর ৫০ নম্বর করে মোট ১০০ নম্বরের চূড়ান্ত লিখিত পরীক্ষায় বসতে হবে। এই পরীক্ষায় মোট প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে সফল চাকরি পদপ্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করবে পিএসসি। বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ কামাল হোসেন জানিয়েছেন, ক্লার্কশিপের চূড়ান্ত পরীক্ষায় সফল হতে গেলে ইংরেজির প্রশিক্ষণের উপর জোর দেওয়া দরকার। ইংরেজি লেখায় দক্ষতা বাড়াতে হবে। মূলত, এই পেপারটিতেই বহু পরীক্ষার্থী পিছিয়ে পড়েন। লিখিত পরীক্ষায় সফলদের কম্পিউটারে এক মিনিটে বাংলা ও ইংরেজিতে নির্দিষ্ট সংখ্যক শব্দ লেখার পরীক্ষা দিতে হয়। এতে সফল হলেই চাকরি। সেপ্টেম্বরে পরীক্ষা হলে চলতি বছরেই চূড়ান্ত ফলাফল বের করার ব্যাপারে আশাবাদী পিএসসি।