বিতর্ক-বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম-পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থোপার্জনের সুযোগ।প্রতিকার: অন্ধ ব্যক্তিকে সাদা ... বিশদ
জানা গিয়েছে, জেলায় জেলায় মাছের খাবার তৈরির কারখানা গড়লে সরকারি সহায়তা মিলছে। জেলাতেই ফিড ফ্যাক্টরি এবং হ্যাচারি গড়ে স্থানীয়ভাবে মাছ চাষের এই উপকরণ পৌঁছে দিতে চাইছে রাজ্য। যাতে জেলাগুলি স্থানীয় স্তরে মাছ চাষে স্বাবলম্বী হতে পারে। মৎস্য দপ্তর সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই জেলাশাসকদের কাছে চিঠি পৌঁছে গিয়েছে। সেখানে প্রতিটি জেলাকে ন্যূনতম ২০০টি জলাশয় চিহ্নিত করে অধিগ্রহণে কথা বলা হয়েছে। স্থানীয় মৎস্যজীবীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে সেখানে মাছ চাষে যাবতীয় সহযোগিতা করা হবে। এছাড়াও মৎস্য দপ্তর অভিনব ‘ফিশারি ক্যালেন্ডার’ তৈরি করেছে। সেখানে মিষ্টি, কালচে এবং সামুদ্রিক জলে চাষের উপযুক্ত মাছের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। পাশাপাশি বছরের কোন সময় কোন জলে কী মাছের চারা ছাড়া হবে, তার সুনির্দিষ্ট তথ্য দেওয়া হয়েছে। বছরের নির্দিষ্ট সময়ে মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে ওই ক্যালেন্ডারে। যা ইতিমধ্যেই বিলি করা শুরু হয়েছে। উৎপাদন কম হওয়ার অন্যতম কারণ রোগে আক্রান্ত হয়ে মাছের মৃত্যু। সেকারণে মৎস্য দপ্তর ‘ডিডিজ সারভিল্যান্স স্কিম’ হাতে নিয়েছে। মৎস্যজীবীদের মাছের রোগ ও তার প্রতিকারে পরামর্শ দেওয়া হবে। একইসঙ্গে জেলা স্তরে মৎস্য আধিকারিকদের তৎপরতা বাড়াতেও বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। যাতে মাছ চাষিরা সঠিক দিশা পান।
এ প্রসঙ্গে রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা বলেন, বাম আমলের তুলনায় মাছ উৎপাদনে আমরা অনেকটা এগিয়েছি। কিন্তু আরও উৎপাদনের প্রভূত সম্ভাবনা রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর দেখানো পথে হেঁটে আমরা এই নয়া মৎস্যনীতি রূপায়ণে নেমেছি। তিন বছরের মধ্যে এর সুফল মিলবে বলে আশাবাদী চন্দ্রনাথবাবু। মৎস্যমন্ত্রী বলেন, এই নীতির স্বার্থক প্রয়োগ হলে মাছ রপ্তানির ক্ষেত্রে বাংলায় নয়া দিগন্ত খুলে যাবে। সেক্ষেত্রে প্রচুর কর্মসংস্থানের সুযোগ ও রাজ্যের আর্থিক বৃদ্ধির পথ সুগম হবে। উল্লেখ্য, এই মুহূর্তে রাজ্য থেকে বছরে মাত্র দেড় লক্ষ টন মাছ রপ্তানি হয়।