বিতর্ক-বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম-পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থোপার্জনের সুযোগ।প্রতিকার: অন্ধ ব্যক্তিকে সাদা ... বিশদ
শনিবার দুপুরে অনলাইনে সাংবাদিক সম্মেলন করে যন্ত্রটি প্রকাশ্যে আনেন আইআইটির ডিরেক্টর বীরেন্দ্রকুমার তেওয়ারি। তিনি বলেন, গত এপ্রিল মাসের প্রথম দিকে এই পোর্টেবল যন্ত্র তৈরির কাজ শুরু করে ওই দুই বিভাগ। লকডাউনের মধ্যে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর অবশেষে জুলাই মাসে তা তৈরি হয়ে যায়। যন্ত্রের কার্যকারিতা দেখে সাময়িক পেটেন্টও পাওয়া গিয়েছে।
মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক সুমন চক্রবর্তী এবং বায়োসায়েন্স বিভাগের ভাইরাস বিশেষজ্ঞ অরিন্দম মণ্ডল এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা জানান, করোনা উপসর্গযুক্ত ব্যক্তির লালারস এই ‘কোভি-র্যাপে’ পরীক্ষা করা হবে। যন্ত্রটির সঙ্গে যুক্ত ‘আইআইটি কোভিড ডিটেকশন’ নামে একটি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে সরাসরি সেই রিপোর্ট জানা যাবে। অ্যাপটি অবশ্য ডাউনলোড করতে হবে। এই যন্ত্রের সাহায্যে একসঙ্গে তিনজনের করোনা পরীক্ষা করা সম্ভব। প্রয়োজনে সংখ্যাটা আরও বাড়ানো যেতে পারে।
সুমনবাবু আরও জানান, ‘কোভি-র্যাপ’ তৈরি করতে খরচ হয়েছে দু’হাজার টাকা। উৎপাদন বাড়লে তা আরও কমবে। করোনা পরীক্ষার জন্য যে আরটিপিসিআর মেশিন প্রয়োজন হয়, তার দাম অনেক। এমনকী, এর জন্য বিশেষ ল্যাব, প্রশিক্ষিত টেকনিশিয়ানেরও প্রয়োজন হয়। কিন্তু আমাদের তৈরি যন্ত্রের সাহায্যে ঘরে বসে যে কেউ করোনা পরীক্ষা করতে পারবেন। সামান্য প্রযুক্তিগত জ্ঞান থাকলেই হবে। কোনও বিশেষ ল্যাবরেটরির প্রয়োজন নেই। ইতিমধ্যেই এই যন্ত্রের সাহায্যে একাধিক করোনা পরীক্ষাও করা হয়েছে। সুমনবাবুর কথায়, আরটিপিসিআর মেশিনের রিপোর্ট আর আমাদের তৈরি যন্ত্রের রিপোর্ট একই হয়েছে। ফলে, প্রত্যন্ত এলাকার মানুষ সহজে এই যন্ত্রের সাহায্যে করোনা টেস্ট করাতে পারবেন।