কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
গতকালের বৈঠকে উত্তরবঙ্গের আরও চারটি বন্ধ চা বাগানের প্রায় ৫ হাজার অসহায় শ্রমিকের পাশে দাঁড়ানোর অভিপ্রায়ে সায় দিয়েছেন সরকার ও শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা। আলিপুরদুয়ার জেলায় অবস্থিত এই চা বাগানগুলি গত বছর থেকেই বন্ধ হয়ে পড়ে আছে। শ্রমিক সংগঠনগুলির মাধ্যমে এব্যাপারে আবেদন আসার পর প্রশাসনের তরফে নিয়মমাফিক যাবতীয় তদন্ত করানো হয়। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী কাজ হারানো শ্রমিকদের নির্দিষ্ট প্রকল্পের আওতায় মাসিক আর্থিক সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় শ্রমদপ্তর। সাধারণত কোনও প্রতিষ্ঠান ছ’মাস বন্ধ থাকার পরই সেখানকার শ্রমিকরা সরকারি বিধি মোতাবেক মাসে দেড় হাজার টাকা করে ভাতা পাওয়ার অধিকারী হন। সেই অনুযায়ী এই ৫ হাজার চা শ্রমিক শুরুতেই বেশ কয়েক মাসের বকেয়া টাকাও হাতে পাবেন।
দপ্তর সূত্রের খবর, জোড়া বিপর্যয় সামাল দিতে বাড়তি টাকা খরচ করতে হচ্ছে রাজ্য সরকারকে। ফলে এবার কর্মহীন শ্রমিকদের উৎসব ভাতা বরাদ্দ নিয়ে অনেকের মনেই সংশয় ছিল। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক কখনওই এই বঞ্চনার পক্ষে মত দেননি। তৃণমূল সরকারের আমলে এই উৎসব ভাতা দেওয়া চালু হওয়ার পর কোনও বছরই বন্ধ হয়নি। এবারও তা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন দপ্তরের আধিকারিকরা। শ্রমিক সংগঠনগুলি অবশ্য মনে করে, বর্তমান অগ্নিমূল্যের বাজারে মাসিক ভাতার অঙ্ক কিছুটা অন্তত বাড়ানো উচিত সরকারের। না হলে কর্মহীন শ্রমিক পরিবারগুলির পক্ষে সংসার চালানো দুষ্কর হয়ে উঠেছে।