বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
দপ্তর সূত্রে খবর মিলেছে, অসংগঠিত ক্ষেত্রের নানা সুবিধা নিয়ে বাম আমলে সামাজিক সুরক্ষার কিছু পদক্ষেপ গৃহীত হয়েছিল। কিন্তু তৃণমূল জমানায় বিষয়টিতে বাড়তি গুরুত্ব দেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপরই ২০১৭ সালে সব ক্ষেত্রের অসংগঠিত শ্রমিকদের সামাজিক সুরক্ষার সুবিধাগুলি এক ছাতার তলায় এনে চালু করা হয় সামাজিক সুরক্ষা যোজনা। বর্তমানে যোজনার সব খরচই রাজ্য সরকার জোগায়। ওই প্রকল্পে বর্তমানে নথিভুক্ত ১ কোটি ২৭ লক্ষ শ্রমিক বা তাদের পরিবার চিকিৎসা খরচ বাবদ বছরে ২০ থেকে ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত পেয়ে থাকে। কিন্তু চিকিৎসার খরচ দিন দিন যেভাবে বাড়ছে, তাতে এই নিম্নবিত্ত মানুষগুলির স্বাস্থ্য সুরক্ষা আরও মজবুত করা দরকার বলে মনে করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই ভাবনা থেকেই তাঁদের স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের আওতায় আনার তোড়জোড় শুরু করে তিনি। লকডাউন পর্বে এই শ্রমিকদের দুর্দশার কথা চিন্তা করেই মমতা বিষয়টি কার্যকর করার নিদান দেন শ্রমমন্ত্রীকে।
করোনাজনিত লকডাউনের কারণে পরিযায়ী ও অসংগঠিত শ্রমিকদের নিয়ে নানা ধরনের অভিযোগ সামনে এনেছে বিরোধী শিবির। এবার তাদের মুখ বন্ধ করতে নবান্নের এই পদক্ষেপ যথেষ্ট জুতসই বলে মনে করছেন দপ্তরের অফিসাররাও। তবে শুধু স্বাস্থ্যসাথীই নয়, অসংগঠিত শ্রমিকদের সন্তানদের একাদশ শ্রেণী থেকে পড়ার খরচ বাবদ চালু থাকা ব্যবস্থাতেও দপ্তর আমূল পরিবর্তন আনতে চাইছে বলে জানা গিয়েছে।