পেশা ও ব্যবসায় অর্থাগমের যোগটি অনুকূল। বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি পেতে পারে। ... বিশদ
দক্ষিণ কলকাতার একটি কলেজের অধ্যক্ষ বলেন, উচ্চশিক্ষা দপ্তরের ডিরেক্টর অব পাবলিক ইন্সট্রাকশন (ডিপিআই), জয়েন্ট ডিপিআইরা বারবার এই তথ্য চেয়ে অধ্যক্ষদের সতর্ক করেছিলেন। তাই আমরা লকডাউনের মধ্যে রাতদিন খেটে এই তথ্য পাঠিয়ে দিয়েছি। অনেক কলেজেই হয়তো কাজ অনেকটা এগিয়ে গিয়েছে। কিন্তু পুরোপুরি তা শেষ করা যায়নি। সে কারণেই এত কলেজ নির্দিষ্ট সময়ে দিতে পারেনি।
এতদিন কলেজ সার্ভিস কমিশনে শূন্যপদের হিসেব পাঠাত কলেজগুলি। উচ্চশিক্ষা দপ্তরে বড় জোর একটি কপি পাঠিয়ে দেওয়া হতো। কিন্তু এবার শূন্যপদের হিসেব নিজেদের হাতে রাখতে চায় উচ্চশিক্ষা দপ্তর। সেই কারণেই চেয়ে পাঠানো হয়েছিল এই এমপ্লয়ি স্টেটাস। স্কুলস্তরের জন্য তৈরি বাংলার শিক্ষা ওয়েবপোর্টালের চেয়ে কিছুটা আলাদা উচ্চশিক্ষার পোর্টালটি। এটি সাধারণের জন্য খোলা নেই। উচ্চশিক্ষা দপ্তরের আধিকারিকরা এটি লগ-ইন আইডি এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে দেখতে পারেন। কলেজের অধ্যক্ষদেরও সে সুযোগ রয়েছে। তবে তাঁরা শুধু নিজের কলেজের তথ্যই জানতে পারবেন। সরকারি নীতি প্রণয়নে বড় ভূমিকা পালন করবে এই পোর্টালের তথ্য।
উচ্চশিক্ষা দপ্তরের এক আধিকারিকের দাবি, এটা ই-গভর্ন্যান্সের একটি অঙ্গ। এমপ্লয়ি স্টেটাস না পেলে আমাদের বেশ সমস্যায় পড়তে হবে। সরকার শূন্যপদের হিসেব এক জায়গায় রাখতে চায়। কিন্তু, শতাধিক বছরের পুরনো বহু কলেজ রয়েছে। সম্ভবত, তারা পুরনো সব তথ্য হারিয়ে ফেলেছে, তাই দিতে পারছে না। তবে লকডাউনও একটা কারণ হতে পারে। প্রসঙ্গত, এই পোর্টালে শুধু শূন্যপদের হিসেব নয়, আরও বিভিন্ন তথ্য থাকছে। কলেজগুলির অডিট রিপোর্ট, সেখানে কোনও শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটেছে কি না, তদন্ত হয়ে থাকলে তার রিপোর্ট, তদন্তের জন্য উপযুক্ত কমিটি রয়েছে কি না, অভিযোগ জানানোর ব্যবস্থা, কী, কী সেমিনার আয়োজন করা হয়েছে— এ ধরনের বিভিন্ন ক্ষেত্র থেকে তথ্য জানাতে হবে পোর্টালে। পার্টটাইম এবং অতিথি শিক্ষকদের (এখন যাঁরা স্যাক্ট) তথ্যও এই পোর্টালে জমা দিতে হবে।