বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
স্বাস্থ্যবিমা সংস্থাগুলির প্রিমিয়াম বাবদ আয় কতটা বেড়েছে? ইনসিওরেন্স রেগুলেটরি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়া বা আইআরডিএআইয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী শুধুমাত্র স্বাস্থ্যবিমা বিক্রিকারী সংস্থাগুলি গতবছর এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত ২ হাজার ৭৯২ কোটি টাকা প্রিমিয়াম বাবদ আদায় করেছিল। এবার সেখানে ওই তিন মাসে মোট আদায় হয়েছে ৩ হাজার ২৩২ কোটি টাকা।
অন্যদিকে, সাধারণ বিমা সংস্থা, যারা অন্যান্য বিমার সঙ্গে স্বাস্থ্যবিমা পলিসিও বিক্রি করে, জুন মাসে প্রিমিয়ামের আদায় বেড়েছে তাদেরও। গত বছর জুন মাসে যেখানে এই সংস্থাগুলির প্রিমিয়াম আদায় হয়েছিল ১১ হাজার ৮৮৬ কোটি টাকা, সেখানে গত মাসে আদায় হয় ১২ হাজার ৩৭৬ কোটি টাকা। সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, সাধারণ বিমার মোট প্রিমিয়ামের অর্ধেকের বেশি আসে স্বাস্থ্যবিমা থেকে। তারপর আসে গাড়ি বিমার প্রিমিয়াম বাবদ আয়। এপ্রিল থেকে গাড়ি বিমার আাদায় ততটা বাড়েনি বলেই জানাচ্ছেন বিমা সংস্থার কর্তারা। ফলে স্বাস্থ্যবিমার সাফল্যই এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছে।
করোনা চিকিৎসার খরচ কি সাধারণ স্বাস্থ্যবিমায় মিলবে? সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর গোড়া থেকেই এই নিয়ে সন্দেহ দানা বেঁধেছিল গ্রাহকদের মধ্যে। কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়ে দেয়, প্রত্যেকটি স্বাস্থ্যবিমা সংস্থাকে চিকিৎসার খরচ মেটাতে হবে। কেন্দ্রের এই ঘোষণার পরই স্বাস্থ্যবিমার প্রিমিয়াম বাবদ আদায় বেড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে আইআরডিএআই জানিয়ে দেয়, শুধু করোনা চিকিৎসার জন্য স্বাস্থ্যবিমা আনতে পারবে বিমা সংস্থাগুলি। সেই মতো চলতি মাসে করোনা বিমা এনেছে ৩০টি সংস্থা। সেগুলির প্রিমিয়াম বাবদ খরচও অনেক কম। ‘করোনা কবজ’ নামে ওই স্বাস্থ্যবিমা কিনতে পারবেন ১৮ থেকে ৬৫ বছর বয়সিরা। সাড়ে তিন মাস, সাড়ে ছ’মাস এবং সাড়ে ন’মাসের জন্য ওই বিমা করানো যাবে। ৫০ হাজার টাকা থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত কভারেজ থাকবে ওই পলিসিতে। বিমা কেনার ক্ষেত্রে একবার মাত্র প্রিমিয়াম দিলেই চলবে। যদি চিকিৎসার জন্য রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়, তাহলে সেই খরচ যেমন পাওয়া যাবে, তেমনই হাসপাতালে যাওয়ার আগেও যদি কোনও চিকিৎসা সংক্রান্ত খরচ হয়, তাও মেটাবে এই পলিসি। করোনা ছাড়াও যদি রোগীর অন্য কোনও রোগ থাকে, অর্থাৎ কো-মরবিডিটি থাকে, সেক্ষেত্রেও হাসপাতালে এই স্বাস্থ্যবিমায় চিকিৎসা পাবেন রোগী।
যেভাবে দেশজুড়ে করোনা সংক্রমণ বেড়ে চলেছে, তাতে ‘করোনা কবজ’ স্বাস্থ্যবিমা দ্রুত জনপ্রিয়তা লাভ করবে বলেই মনে করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে প্রিমিয়াম বাবদ আয় আরও খানিকটা বাড়িয়ে নিতে পারবে বিমা সংস্থাগুলি।