বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
গত ২০১৫ সালে চালু হওয়া কেন্দ্রীয় সরকারের ন্যাশনাল মিশন ফর সাসটেনেবল এগ্ৰিকালচারের (এনএমএসএ) অধীনে এই কাজটি করা হতো। প্রায় ৮২ লক্ষ হেল্থ কার্ড রাজ্যে ইস্যু হয়েছে গত কয়েক বছরে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির স্বপ্নের প্রকল্পগুলির মধ্যে এটি একটি। কিন্তু রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এখন কেন্দ্রীয় সরকার এই প্রকল্পে মাটি পরীক্ষা করতে চাইছে না। ফলে সমস্যা তৈরি হয়েছে। কৃষকরা সঙ্কটে পড়েছেন। তবে মাটি পরীক্ষার কাজ চালু করার জন্য রাজ্য সরকার নিজেই উদ্যোগ নিচ্ছে বলে তিনি জানিয়েছেন। এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত কৃষিদপ্তরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, স্বেচ্ছাসেবী ও বেসরকারি সংস্থার ল্যাবরেটরি থেকে মাটি পরীক্ষা করানোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এনএমএসএ-র অধীনে মাটি পরীক্ষা করার জন্য রাজ্যে সরকারি ক্ষেত্রে বিভিন্ন জেলায় মোট ১৩টি ল্যাবরেটরি কাজ করছিল। আরও ৫টি চালু করার উদ্যোগ চলছিল। এখানে দামি প্রচুর উপকরণ আছে। এই ল্যাবরেটরিগুলিতে চুক্তিতে নিযুক্ত ১৩৩ জন টেকনিশিয়ান ২০১৫ সাল থেকে কাজ করছিলেন। রসায়ন নিয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্ৰিধারী এই কর্মীদের চুক্তির মেয়াদ জানুয়ারি পর নবীকরণ না হওয়ায় তাঁরাও কাজ হারিয়ে চরম সঙ্কটে পড়েছেন। কাজ হারানোর বিষয়টি কৃষিমন্ত্রীকে জানানোর পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয়েও লিখিতভাবে পাঠিয়েছেন টেকনিশিয়ানরা। কৃষিদপ্তরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় প্রকল্প চালু হলে এঁরা কাজ পাবেন। তবে দপ্তর সূত্রের খবর, এই টেকনিশিয়ানদের বিকল্প ব্যবস্থা করা নিয়েও চিন্তাভাবনা হচ্ছে। টেকনিশিয়ানদের চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর মাটি পরীক্ষার কাজে কার্যত বন্ধ হয়ে যায়। এখন প্রায় এক লক্ষ মাটির নমুনা পড়ে আছে ল্যাবরেটরিগুলিতে।
এই সমস্যা তৈরি হল কেন? কৃষিদপ্তর সূত্রে খবর, কেন্দ্রীয় প্রকল্পে আগে রাজ্যের সর্বত্র মাটি পরীক্ষা করা যেত। পরবর্তীকালে কেন্দ্র ঠিক করে, দেশের প্রতি ব্লকে একটি করে গ্ৰামকে জৈব পদ্ধতিতে চাষের জন্য মডেল হিসেবে গড়ে তোলা হবে। ফলে রাজ্যের অধিকাংশ গ্ৰাম কেন্দ্রীয় প্রকল্পে মাটি পরীক্ষার বাইরে চলে আসে। এরাজ্যে গ্ৰাম পঞ্চায়েত ভিত্তিতে মডেল গ্ৰাম করতে গিয়ে কিছুটা জটিলতা হয়েছে। মাটি পরীক্ষার ৬০ শতাংশ খরচ কেন্দ্র দিত। সব মিলিয়ে কেন্দ্রের টাকা পাওয়া নিয়ে সমস্যা আছে। কৃষি দপ্তরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, এর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকার কোভিড পরিস্থিতির জন্য চলতি বছরে মাটি পরীক্ষা বন্ধ রাখতেও বলেছে। ফলে সব মিলিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে মাটি পরীক্ষা নিয়ে।