তাপপ্রবাহের জন্য অনির্দিষ্টকাল ছুটি পড়ে গিয়েছে সরকারি ও সরকার-পোষিত স্কুলগুলিতে। বৃহস্পতিবার এই সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করেছে শিক্ষাদপ্তর। একই সঙ্গে সিআইএসসিই এবং সিবিএসই কর্তাদেরও এই নির্দেশিকা পাঠিয়েছে বিকাশ ভবন।
তৃণমূল কংগ্রেসের ইস্তাহারকে ‘রাজনৈতিক ঠাকুমার ঝুলি’ বলে কটাক্ষ করলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। তিনি বলেন, ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার আপনার-আমার করের টাকায় হচ্ছে। ফলে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে নাচানাচি করার মানে হয় না।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর কেটে গিয়েছে প্রায় ১৮ বছর। তবু রাজ্যে তৈরি হয়নি পুলিস কমপ্লেন সেন্টার। ফলে এবার স্বরাষ্ট্রসচিবের কাছে রিপোর্ট তলব করল প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ।
নির্বাচনের দিন (১৯ এপ্রিল) উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করুক কমিশন। ওই দিন তাঁকে তাঁর বুথ এলাকার মধ্যেই থাকতে বলা হোক। নির্বাচন কমিশনের কাছে এই মর্মে আবেদন জানালেন কোচবিহারের বিজেপি প্রার্থী তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক।
দিনভর তল্লাশিতে ব্যস্ত থাকে। তাই বিশ্রাম যাতে ঠিকঠাক নিতে পারে, তার জন্য একটি এয়ার কুলার বরাদ্দ তার। ল্যাব্রাডর প্রজাতির কুকুরটির এর থেকে বেশি কিছু চাহিদা নেই। তবে কোচবিহারে আসার পর তার ভাগ্যে কুলারের ঠান্ডাটুকুও জুটছে না।
কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: লকডাউনের সময় থেকেই ট্রেন বন্ধ। আনলক পর্বেও চলছে না লোকাল ট্রেন। তাই কলকাতায় পৌঁছে অফিস করতে সমস্যায় পড়ছিলেন শহরতলির বহু যাত্রী। সেই সঙ্কট কাটাতে হুগলির বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কলকাতার একাধিক ঘাট পর্যন্ত ফেরি সার্ভিস চালু করে রাজ্য সরকার। সরকারি পরিষেবায় খুশি বহু যাত্রী। তবে তাঁদের অনেকেরই আক্ষেপ, এই পরিষেবায় খরচ বেশি। শহরতলি থেকে কলকাতায় ফেরি সার্ভিসের এক পিঠের জন্য ৬০ টাকা পর্যন্ত খরচ করতে হচ্ছে যাত্রীদের। অর্থাৎ শুধু কলকাতা পৌঁছনো এবং ফেরার জন্য দিনে খরচ হয়ে যাচ্ছে ১২০ টাকা। ফেরির ভাড়া একটু কম হলে এই পরিষেবা আরও জনপ্রিয় হবে বলেই মনে করছেন যাত্রীদের একাংশ। কত টাকা ফেরি সার্ভিস বাবদ খরচ করতে হচ্ছে যাত্রীদের? তাঁরা জানাচ্ছেন, চন্দননগর থেকে ফেয়ারলি পর্যন্ত এক পিঠের ভাড়া ৬০ টাকা। চন্দননগর থেকে বাগবাজার পর্যন্ত ভাড়া ৫৬ টাকা। আবার তেলিনিপাড়া থেকে ফেয়ারলি পর্যন্ত ফেরি সার্ভিসের জন্য খরচ করতে হবে ৫৬ টাকা। ভদ্রেশ্বর থেকে বাবুঘাট পর্যন্ত ভাড়া ৫৪ টাকা। শেওড়াফুলি থেকে ফেয়ারলি ৫০ টাকা, শেওড়াফুলি থেকে বাগবাজার ৪৬ টাকা, শ্রীরামপুর থেকে ফেয়ারলি ৪৬ টাকা, কোন্নগর থেকে ফেয়ারলি ৩৬ টাকা ভাড়া। যাত্রীদের বক্তব্য, এই সময় অনেকেই আর্থিক সমস্যায় ভুগছেন। তাই এই ভাড়ার অঙ্ক অনেকের ক্ষেত্রেই বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ট্রেন বা বাস রুটে যাতায়াত করলে এরচেয়ে খরচ অনেক কম হতো। কিন্তু ট্রেন-বাসে যাতায়াত সম্ভব হচ্ছে না বলেই ফেরি সার্ভিস নিতে বাধ্য হচ্ছেন বহু যাত্রী। তাঁদের আর্জি, সরকার যদি ভাড়া কমানোর বিষয়টি বিবেচনা করে তাহলে আরো বেশি সংখ্যক মানুষ ফেরি সার্ভিস মারফত কলকাতায় পৌঁছতে ও ফিরতে পারবেন। ভাড়া সংক্রান্ত ক্ষোভ ছাড়াও সমস্যা আরও আছে। যাত্রীদের একাংশ বলছেন, ফেরিতে তাঁরা রীতিমতো নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। অনেক সময়ই গঙ্গায় ভাটা এলে ভেসেলগুলি গঙ্গার পাড় ঘেঁষে চলাচল করছে। কামারহাটি এলাকায় গঙ্গার পাড় ঘেঁষে ফেরি চলাচলের সময় পাড় থেকে কেউ বা কারা মাঝেমাঝেই ইটের টুকরো ছুঁড়ে মারছে ফেরির যাত্রীদের দিকে। সম্প্রতি এই ঘটনায় একাধিক ব্যক্তি জখম হয়েছেন। তা নিয়ে যাত্রীরা বিক্ষোভও দেখিয়েছেন ফেরিঘাটে। যাত্রীদের বক্তব্য, যেহেতু বহু মানুষ এখন গঙ্গাবক্ষে ফেরি সার্ভিসের সুবিধা নিচ্ছেন, তাই পুলিস এলাকায় নজরদারি বৃদ্ধি করুক। কারণ যেভাবে মাঝেমধ্যেই ইট-পাটকেল ছোঁড়া হচ্ছে যাত্রীদের উদ্দেশে, তাতে যে কোনওদিন বড় রকমের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।
