পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
সিঙ্গুরের ইমিটেশন গয়না কারখানার মালিক অভিষেক শেট্টি বলেন, চীন প্রথমদিকে কাঁচামালও বিক্রি করছিল। তারপর গয়না বিক্রি শুরু করে। ওরা কম দামে সবকিছু দিচ্ছে। ফলে আমাদের শিল্পীদের তৈরি গয়না প্রতিযোগিতার বাজার টিকতে পারছে না। মাত্র একবছরেই প্রায় ৪০ শতাংশ ব্যবসা কমে গিয়েছে। এই শিল্পের সঙ্গে সিঙ্গুর, ধনিয়াখালি, হাওড়ার উদয়নারায়ণপুরের হাজার হাজার পরিবার যুক্ত রয়েছে। তাদের রুজিরুটি নিয়ে সমস্যা তৈরি হচ্ছে। কারখানার কর্মীরা বলেন, আগে দেশীয় বাজারের পাশাপাশি চীনেও আমাদের তৈরি ইমিটেশনের গয়না যেত। কিন্তু, কিছুদিন পর ওরাও ইমিটেশনের গয়না তৈরি করা শুরু করে। তারপরই রপ্তানি বন্ধ হয়ে যায়। এখন ওরা আমাদের বাজার দখল করছে। ফলে দেশীয় বাজারও আমাদের হাতছাড়া হতে বসেছে। কেন্দ্রীয় সরকার চীনের উপর অতিরিক্ত শুল্ক না বসালে আমাদের না খেয়ে মরতে হবে।
বিশ্ববাণিজ্যের নিরিখে, কিউবিক জারকনিয়া বা নকল হীরে সর্ববৃহৎ রপ্তানিকারক চীন। ভারত ওই তালিকায় দু’নম্বরে আছে। ভারতীয় কিউবিক জারকনিয়া গুণমানেও উন্নত। কিন্তু, স্রেফ দাম কম হওয়ায় বাজার দখল করে রেখেছে চীন। গত কয়েক বছর কাঁচামাল সরবরাহের পাশাপাশি তারা গয়না তৈরি করেও বিক্রি করতে শুরু করে। আর তারপরেই সঙ্কটে পড়তে শুরু করে হুগলির ইমিটেশন শিল্প।
২০১৩ সালে সিঙ্গুরের কামারকুণ্ডু গ্রাম পঞ্চায়েতের দলিরগাছায় এই কারখানা গড়ে উঠেছিল। রমরমিয়ে কারখানা চলায় সুযোগ পেয়েছিল সিঙ্গুর সহ আশপাশ এলাকার হাজার হাজার পরিবার। ধীরে ধীরে ব্যবসা ছড়ালে ধনিয়াখালি, উদয়নারায়ণপুরেও কারখানা তৈরি হয়। কিন্তু, সস্তা হওয়ায় গত কয়েক বছরে চীনের ইমিটেশন গয়না দখল করে মুম্বই, দিল্লির বাজার। ভারত-চীন সংঘাতের পরিবেশে আশার আলো দেখছেন এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত হুগলি জেলার মানুষজন। তাঁদের আশা, এদেশে চীনের ইমিটেশন গয়না কম ঢুকলে তাঁরা ফেলে লাভের মুখ দেখতে পারবেন। চাঙ্গা হবে ইমিটেশন গয়না শিল্প।