কর্মপ্রার্থীরা বেশ কিছু সুযোগের সংবাদে আনন্দিত হবেন। বিদ্যার্থীরা পরিশ্রমের সুফল নিশ্চয় পাবে। ভুল সিদ্ধান্ত থেকে ... বিশদ
কৃষি বিপণন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় সব বাজারেই কাজকর্ম চলছে। মোট ১৮৫টি বাজারে এখন কৃষি পণ্য বিপণনের কাজ চলছে।
মোট ১৭৮টি বাজারে কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনার জন্য স্থায়ী সরকারি কেন্দ্র চলছে। বেশ কিছু বাজারে আবার সরকারি স্থায়ী ধান ক্রয় কেন্দ্রের পাশাপাশি অন্যান্য কৃষি পণ্য, মূলত সব্জির কেনাবেচা চলছে। এই ধরণের বাজারের সংখ্যা ১১৭টি। শুধু ধান কেনাবেচা হয়, এমন বাজার আছে ৬১টি। আবার শুধু সব্জির বাজার বসে সাত জায়গায়। বাজারে সব্জি নিয়ে আসেন কৃষকরা। তা কিনে নিয়ে বিভিন্ন খুচরো ও পাইকারি বাজারে সরবরাহ করেন ব্যবসায়ীরা। মোট ১২৪টি বাজারে সব্জির কেনাবেচা হয়। প্রতিদিন যাতে আরও বেশি সংখ্যক বাজার চলে, তার জন্য গত কয়েক বছর ধরে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে কৃষি বিপণন দপ্তর। দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এখন ৬২টি বাজার সপ্তাহের প্রতিদিন বসে। সপ্তাহে ছ’দিন বসে এমন বাজারের সংখ্যা ছয়টি। ছ’টি বাজার তিনদিন, ২৭টি দু’দিন, ২২টি একদিন ও একটি সপ্তাহে চারদিন বসে। দপ্তরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, লকডাউনের সময় এই সংখ্যা কিছুটা এদিক ওদিক হয়েছে। কোথাও কোথাও আশপাশের পাইকারি বাজার অস্থায়ীভাবে উঠে এসেছে। আবার ভিড় কমাতে কিষান বাজার বসার দিন সাময়িক ভাবে পরিবর্তন করা হয়েছে।
গ্রামীণ এলাকায় সব্জির যে পাইকারি বাজারগুলি দীর্ঘদিন দিন ধরে চলছে সেগুলি বেশিরভাগ ব্যক্তিগত মালিকানার। জমজমাট বাজার এলাকায় এগুলি মূলত চলে। কিন্তু অধিকাংশ কিষান বাজার তৈরি হয়েছে মূল বাজার এলাকা থেকে কিছুটা দূরে। জমি যাতে সহজে পাওয়া যায়, তার জন্য কৃষি দপ্তরের নিজস্ব খামারে এগুলো নির্মাণ করা হয়। মূল বাজার এলাকা কিছুটা দূরে থাকার জন্য ব্যবসায়ী ও কৃষক, উভয়ের কৃষক বাজারে আসার ব্যাপারে প্রথম থেকেই অনীহা ছিল। কৃষি বিপণন দপ্তর ও স্থানীয় প্রশাসন বুঝিয়ে সুঝিয়ে তাঁদের নিয়ে আসছে। দপ্তরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, এতে সাফল্য আসছে। তবে একটু সময় লাগছে। প্রতি বাজার রোজ চালানোর ব্যবস্থা করা তাঁদের লক্ষ্য। কয়েকটি কৃষক বাজারকে কৃষি পণ্যের বড় হাব বা কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। হুগলির সিঙ্গুর পচনশীল খাদ্যসামগ্রীর হাব। নদীয়ার রাণাঘাট ও ফুলিয়ায় অপচনশীল খাদ্যের হাব। এখানে ঝাড়াই-বাছাই, প্যাকেজিংয়ের কাজ হয়। উত্তরবঙ্গের ময়নাগুড়ি, মাদারিহাট ও ফালাকাটাতে এরকম তিনটি হাব গড়ে তুলছে দপ্তর। আগামীদিনে কৃষক বাজারে এরকম আরও হাব গড়ার পরিকল্পনা আছে দপ্তরের।