কর্মপ্রার্থীরা বেশ কিছু সুযোগের সংবাদে আনন্দিত হবেন। বিদ্যার্থীরা পরিশ্রমের সুফল নিশ্চয় পাবে। ভুল সিদ্ধান্ত থেকে ... বিশদ
ডিআইদের বক্তব্য, অনেক জেলাতেই সরাসরি কলকাতা থেকে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বদলির তালিকা যাচ্ছে। ডিআইদের সেগুলিকে অগ্রাধিকার দিতে হচ্ছে। কীসের ভিত্তিতে এই অগ্রাধিকার, তা তাঁদের কাছেও স্পষ্ট নয়। কিন্তু সেই বদলি সংঘটিত করার জন্য তাঁদের হাতে শূন্যপদ রাখতে হচ্ছে। আবার কখন তালিকা আসে সেই ভয়ে কয়েক বছর আগে আবেদন করেও ঘুরে বেড়ানো শিক্ষকদের শূন্যপদ দেখাচ্ছেন না ডিআইদের অনেকে। সম্প্রতি একটি বড় জেলার ডিআইয়ের নামে বিকাশ ভবনে মৌখিক অভিযোগ জানিয়েছেন নাকাল শিক্ষকরা। আধিকারিক স্তর থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, বিষয়টি দেখা হবে। আনলক-১ শুরু হতেই শিক্ষক-শিক্ষিকারা ডিআই অফিসে গিয়েছেন। এমনকী, বিকাশ ভবনেও ছুটে এসেছেন প্রত্যন্ত জেলা থেকে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কাজের কাজ কিছুই হয়নি। বলা হয়েছে শূন্যপদ না থাকলে কিছুই করা যাবে না।
কলেজিয়াম ফর অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমাস্টার্স অ্যান্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমিস্ট্রেসেসের সম্পাদক সৌদীপ্ত দাস দাবি করেন, বদলি সুযোগ পেতে গেলে সেই পোস্টে অন্তত পাঁচ বছর চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। হামেশাই দেখা যাচ্ছে, সেই নিয়ম লঙ্ঘন করে বদলি দেওয়া হচ্ছে। একাধিক প্রমাণ আমাদের হাতে রয়েছে। অল পোস্ট গ্রাজুয়েট টিচার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনও যাবতীয় বদলি প্রক্রিয়া দ্রুত কার্যকর করার দাবিতে স্কুল শিক্ষা কমিশনারকে স্মারকলিপি দিয়ে এসেছে। তাদের দাবি, জেলাগুলিতে অনলাইনে বদলি প্রক্রিয়া চালু করতে হবে, মিউচুয়াল ট্রান্সফারে দ্রুততা আনতে হবে, বদলির ক্ষেত্রে সিনিয়রিটি এবং দূরত্ব অগ্রাধিকার পাক। বিশেষ বদলির ক্ষেত্রেও যেন স্বচ্ছতা বজায় রাখা হয়। স্কুল সার্ভিস কমিশনের এক আধিকারিক বলেন, এই মুহূর্তে ট্রেন বন্ধ থাকায় যাতায়াতের অসুবিধার জন্য মিউচুয়াল ট্রান্সফারের শুনানি করা সম্ভব হচ্ছে না। এসব সমস্যা মিটলেই দ্রুত তা করা হবে।