কর্মপ্রার্থীরা বেশ কিছু সুযোগের সংবাদে আনন্দিত হবেন। বিদ্যার্থীরা পরিশ্রমের সুফল নিশ্চয় পাবে। ভুল সিদ্ধান্ত থেকে ... বিশদ
জানা গিয়েছে, প্রথম দফার এই চারদিনের প্রশিক্ষণ পর্বটি আট ঘণ্টার। সকাল ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত ট্রেনিং চলবে। তথ্যপ্রযুক্তি দপ্তরের পাঠানো চিঠিতে এই প্রশিক্ষণ পর্বে যোগ দেওয়ার জন্য বিশেষ ফর্ম রয়েছে। অনলাইনে তা পূরণ করে ইমেল আইডি সহ আবেদন করতে হবে শিক্ষকদের। তথ্যপ্রযুক্তি দপ্তরের তরফে নির্দিষ্ট ইমেলে বিশেষ লিঙ্ক দেওয়া হবে। পুরো প্রশিক্ষণ পর্বটি ইউটিউবে সরাসরি সম্প্রচারিত (লাইভ) হবে। কোনও প্রশ্ন থাকলে ওই ইউটিউব লাইভের চ্যাট বক্সে করতে পারবেন শিক্ষকরা। বিশেষজ্ঞরা তার জবাব দেবেন। তথ্যপ্রযুক্তি দপ্তরের অধীনে থাকা সাইবার সিকিউরিটি সেন্টার অব এক্সেলেন্স, সিড্যাক হায়দরাবাদ এবং ওয়েবেলের সহযোগিতায় এই কর্মসূচি শুরু হতে চলেছে। গত ২২ মার্চ থেকে রাজ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি বন্ধ। পরিস্থিতি যেদিকে এগচ্ছে, তাতে পড়ুয়াদের স্কুল-কলেজমুখী হতে আরও অপেক্ষা করতে হবে। বিকল্প হিসেবে শুরু হয়েছে অনলাইন পঠনপাঠন। কিন্তু সাইবার দুনিয়ায় যেভাবে অপরাধ বাড়ছে, তাতে মোবাইল বা কম্পিউটারে লেখাপড়ার আড়ালে ব্যক্তিগত তথ্য থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার মতো অনেক কিছুই ঘটতে পারে। এই প্রসঙ্গে নবান্নের এক শীর্ষ কর্তা বলেন, ‘আমরা প্রথমে শিক্ষকদের এই প্রশিক্ষণ দিতে চাইছি। কারণ, সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একজন শিক্ষক ন্যূনতম শ’দুয়েক ছাত্রছাত্রীর সঙ্গে যুক্ত থাকেন। তাই শিক্ষকদের মাধ্যমেই বিরাট অংশের ছাত্রসমাজের কাছে এই সাইবার নিরাপত্তার পাঠ পৌঁছে দিতে চাই।’ পরবর্তী সময়ে পড়ুয়াদেরও একই ধরনের প্রশিক্ষণ দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তথ্যপ্রযুক্তি দপ্তরের। জানা গিয়েছে, তাদের এই প্রস্তাব লুফে নিয়েছে শিক্ষাদপ্তর। বিভাগীয় এক কর্তার কথায়, করোনার জেরে প্রথাগত পঠনপাঠনের চিত্র আমূল বদলে গিয়েছে। এখন প্রাইমারি থেকে শুরু করে উচ্চ শিক্ষার পড়ুয়ারা মোবাইলে বা কম্পিউটারে ক্লাস করছে। স্বভাবতই ইন্টারনেটের নিরাপদ ব্যবহার সম্পর্কে অবহিত না হলে, অনেক অঘটন ঘটে যেতে পারে। তাই এই অভিনব উদ্যোগে সরকারি শিক্ষকদের যুক্ত হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।