বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
স্বাস্থ্যকর্তাদের একটি বড় অংশেরই বক্তব্য, স্ত্রী-পুত্র-কন্যা-পরিবার কাছে থাকলে স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিৎসকরা মানসিকভাবে চাঙ্গা থাকেন। কঠিন পরিস্থিতিতে অবসাদ গ্রাস করে না। তাছাড়া এমন সরকারি সুবিধা পেলে অনেক সময় বেসরকারি ক্ষেত্রে মোটা টাকার আর্থিক প্যাকেজ ও সুযোগ-সুবিধার প্রলোভনকেও জয় করতে পারেন তাঁরা, এমনটাই মনে করেন শীর্ষ স্বাস্থ্যকর্তারা। তাঁরা জানিয়েছেন, এই বিপুল সংখ্যক স্বাস্থ্যকর্মীকে বাড়ির কাছে বদলি নজিরবিহীন ঘটনা।
এ প্রসঙ্গে শনিবার রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডাঃ অজয় চক্রবর্তী বলেন, আনুমানিক সাড়ে চারশো মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট বাড়ির কাছে বদলির আর্জি জানিয়েছিলেন। ৮৫ শতাংশের আবেদনই মঞ্জুর করা হয়েছে। বাকিদের ক্ষেত্রে যেখানে যেখানে ওঁরা চেয়েছিলেন, পদ থাকলে নিশ্চয়ই করে দিতাম।
বর্তমান কঠিন পরিস্থিতিতে সরকারের এই মানবিক দৃষ্টিভঙ্গির উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছে মেডিক্যাল টেকনোলজিস্টদের একাধিক সংগঠন। তৃণমূলপন্থী ওয়েস্ট বেঙ্গল প্রোগ্রেসিভ মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য সম্পাদক সমিত মণ্ডল বলেন, মুখ্যমন্ত্রীকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এত বিপুল সংখ্যক স্বাস্থ্যকর্মীকে বাড়ির কাছে বদলির সুযোগ এর আগে কখনও হয়নি। সোসাইটি অব বায়োমেডিক্যাল ল্যাবরেটরি সায়েন্স-এর সহ সম্পাদক বিকাশ মণ্ডল বলেন, এতে স্বাস্থ্যকর্মীদের মনোবল বাড়ল। কাজের মান ভালো হবে। সামগ্রিকভাবে সমাজও উপকৃত হবে।
বিভিন্ন প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র, এসএনসিইউ, থ্যালাসেমিয়া কন্ট্রোল ইউনিট, গ্রামীণ, মহকুমা, জেলা হাসপাতাল থেকে মেডিক্যাল কলেজ—প্রাথমিক থেকে টার্সিয়ারি বা চূড়ান্ত পর্যায়ের হাসপাতালে বদলি করা হয়েছে টেকনোলজিস্টদের।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, লকডাউন পর্বের এই চার মাসের বেশি সময়ে সরকার যে ক’টি ক্যাডারে সবচেয়ে বেশি কর্মী নিয়োগ করেছে, তার মধ্যে অন্যতম হল মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট।