বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, রাজ্য সরকার যে ২৭ জুন অ্যাডভাইসরি দিয়েছে, সেই অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়গুলি তাদের মূল্যায়ন প্রক্রিয়া তৈরি করেছে। রাজ্য সরকারের অ্যাডভাইসরিও এপ্রিলে ইউজিসি প্রকাশিত গাইডলাইন অনুযায়ীই দেওয়া হয়েছে। গোটা পদ্ধতি নিয়ে ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক-অভিভাবক— সব পক্ষই সন্তুষ্ট ছিল। কারণ ছাত্রছাত্রীদের স্বার্থ, সুরক্ষা এবং ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখেই গোটা পদ্ধতি ঠিক করা হয়েছে। কিন্তু ইউজিসি বাধ্যতামূলকভাবে পরীক্ষা নেওয়ার জন্য নয়া নির্দেশিকা জারি করার পরে উদ্বিগ্ন ছাত্রছাত্রী এবং অভিভাবকদের শয়ে শয়ে ই-মেল পাচ্ছি। তাঁরা ফের উদ্বেগে পড়ে গিয়েছেন। ইউজিসির নয়া নির্দেশিকায় শুধু রাজ্য নয়, গোটা দেশের পড়ুয়াদের স্বার্থ বিঘ্নিত হবে।
রাজ্য সরকারের দেওয়া অ্যাডভাইসরিতে যে কিছু পরীক্ষার্থীর জন্য বিশেষ পরীক্ষার ব্যবস্থাও রয়েছে, তাও প্রধানমন্ত্রীকে মনে করিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু, তিনি ইউজিসিকে তাদের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে বাধ্য করলেই রাজ্য সরকার নিজেদের ঠিক করা পদ্ধতিতে চলতে পারবে।
ছাত্রছাত্রী এবং অভিভাবকদের মনোভাবটি ভালোভাবে পড়তে পেরেছেন মুখ্যমন্ত্রী। পরীক্ষা দিতে গিয়ে করোনার আতঙ্ক তো রয়েছেই। দীর্ঘ লকডাউনে প্রস্তুতির অভাবে সিংহভাগ পড়ুয়াই পরীক্ষা দেওয়ার অবস্থায় নেই। তাই যত জন পড়ুয়া পরীক্ষা হোক চাইছেন, তার অনেক গুণ বেশি তা চাইছেন না। অধ্যাপক সংগঠনগুলিও ইউজিসির নয়া নির্দেশিকার সমালোচনা করেছে। শিক্ষা কেন্দ্র-রাজ্য যৌথ তালিকাভুক্ত হলেও, রাজ্যগুলি যে পরীক্ষা না-নেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে না, সেটাও ঠিক। কারণ ডিগ্রি বিশ্ববিদ্যালয়গুলি দিলেও, তার অনুমোদন দেবে ইউজিসি। তাই ইউজিসির নির্দেশিকার বাইরে গিয়ে কিছু করতে গেলে আইনি জটিলতা আসতে বাধ্য। সে কারণেই এবার আসরে নামতে হল খোদ মুখ্যমন্ত্রীকে।