বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
উম-পুন বিধ্বস্ত বাংলার কৃষি ব্যবস্থাকে চাঙ্গা করার ক্ষেত্রে এই মুহূর্তে অত্যন্ত ‘সহায়ক’ ভূমিকা নিতে পারে কেসিসি। এর মাধ্যমে ঋণ নিয়ে নতুন করে চাষাবাদ শুরু করতে পারেন কৃষকরা। কিন্তু এই মুহূর্তে কৃষকদের আর্থিক রক্ষাকবচের কাজ করা কিষাণ ক্রেডিট কার্ড নিয়ে কেন্দ্রের গড়িমসিকে বাংলার প্রতি বঞ্চনার নতুন উদাহরণ বলেই অ্যাখ্যা দিচ্ছে সবাই। যদিও স্টেট লেভেল ব্যাঙ্কার্স কমিটির (এসএলবিসি) বক্তব্য, দ্রুত কেসিসির জন্য মঞ্জুরি দেওয়ার কাজ চলছে। তবে আগামী বুধবারের (১৫ জুলাই) মধ্যে আদৌ সম্ভব কি না, তা নিয়ে এসএলবিসি’র কেউই কোনও স্পষ্ট ধারণা দিতে পারেননি। বিষয়টি নিয়ে নিয়মিত খোঁজখবর রাখছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার তিনি বলেন, বাংলার কৃষকদের স্বার্থে কেসিসি’র মঞ্জুরি দ্রুত দেওয়ার জন্য ব্যাঙ্কগুলিকে বলা হয়েছে। কোনও গড়িমসি চলবে না। কৃষিমন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, রাজ্যের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির উপর কেন্দ্রের ‘কালো ছায়া’ রয়েছে। সেই কারণেই বাংলার কৃষকদের জন্য এই অনীহা। কেসিসি প্রদানের পন্থা আরও সহজ-সরল হওয়া দরকার ছিল।
কৃষিদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ক্ষমতায় আসার পর থেকে বাংলার মোট ৭২ লক্ষ কৃষক পরিবারকে কেসিসি’র সঙ্গে যুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। ধাপে ধাপে ৬৯ লক্ষ কৃষক পরিবারের কাছে পৌঁছে গিয়েছিল কেসিসি। কিন্তু সময় মতো কার্ড পুনর্নবীকরণ না হওয়ায় এবং ঋণ শোধ দেরিতে হওয়ায়, কয়েক লক্ষ কৃষক পরিবারের কেসিসি বাতিল হয়ে যায়। উম-পুন পরবর্তী কৃষি ব্যবস্থাকে চাঙ্গা করার লক্ষ্যে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে এবার নতুন করে প্রায় ২১ লক্ষ কৃষক কেসিসি’র জন্য আবেদন করেছেন। কেন্দ্রের জটিল নীতির কারণে এখন তাঁরাই চরম অনিশ্চয়তার সম্মুখীন।