পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
করোনা মোকাবিলায় মানুষকে আরও সচেতন থাকতে বলেছে প্রশাসন। বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটা থেকে শুরু হয়েছে কন্টেইনমেন্ট জোনে লকডাউন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সিদ্ধান্তটি যে অত্যন্ত বাস্তববাদী পদক্ষেপ, তা সোশ্যাল মিডিয়ার চর্চাতেই দিনভর উঠে আসে। শুক্রবার সকাল থেকে বিজেপি হাতিয়ার করে ট্যুইটারকে। ‘হ্যাশট্যাগ বাংলার লজ্জা মমতা’ নাম দিয়ে কদর্য ভাষায় ট্যুইট করতে থাকে। পাল্টা জবাব দিতে তৃণমূল সময় নষ্ট করেনি। আর রাজ্যের মানুষও এই ট্যুইট যুদ্ধে শামিল হয়ে তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ। আর তাতে দেখা যায়, ‘হ্যাশট্যাগ বাংলার গর্ব মমতা’ কলকাতার ট্রেন্ডিংয়ে এক নম্বরে উঠে এসেছে। অনেক পিছনে পড়ে গিয়েছে বিজেপির প্রচার অভিযান।
আরও গুরুত্বপূর্ণ হল, বিজেপি সকাল থেকে ট্যুইটারকে ব্যবহার করে মমতার সমালোচনায় ময়দানে নামলেও ফায়দা তুলতে পারিনি। উল্টে হাতেগোনা কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মমতার স্বপক্ষে ট্যুইট পড়ে ৩০ হাজারের উপরে। প্রত্যাখ্যাত হয় গেরুয়া শিবির। ‘হ্যাশট্যাগ বাংলার গর্ব মমতা’ ট্রেন্ডিংয়ে কলকাতায় যেমন এক নম্বরে জায়গা করে নেয়, তেমনই সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সাফল্যের মুখ দেখে। বিকেল চারটে পর্যন্ত পরিসংখ্যানে দেখা যায়, তৃণমূলের প্রচার অভিযান ছিল ১৬ নম্বরে। আর সেখানে বিজেপির র্যাঙ্ক ছিল ২৮। জুন ২০২১ পর্যন্ত বিনামূল্যে রেশন, করোনা মোকাবিলায় সরকারের একাধিক পদক্ষেপ উঠে এসেছে সোশ্যাল মিডিয়ার চর্চায়। তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, বিভিন্নভাবে বাংলাকে অপমান করার চেষ্টা করে যাচ্ছে বিজেপি। কিন্তু তার জবাব প্রতিনিয়তই দিচ্ছেন রাজ্যের মানুষ। যেমনটা এদিনও দিলেন।
এদিকে ২১ জুলাই নিয়েও উন্মাদনা তুঙ্গে তৃণমূল শিবিরে। শহিদ দিবস কেন্দ্রিক একাধিক ফেসবুক পেজ তৈরি হয়েছে। ভার্চুয়াল জনসভার বিষয়ে প্রচার চলছে দেদার। ফেসবুক লাইভে মমতার বক্তব্য যাতে সবাই দেখতে পান, তা নিয়েও তৃণমূল জোর প্রচার চালাচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় জায়ান্ট স্ক্রিন, টিভি বসানোর বিষয়েও জেলা সভাপতিরা সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন। বুথে বুথে কিভাবে শহিদ দিবস পালনের ছবি হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে দলকে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।