কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
লকডাউন কার্যকর হওয়ার একেবারে শুরু থেকেই রাজনীতির অন্যতম প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়া। দলীয় বৈঠক হচ্ছে ভিডিও কনফারেন্সে। কর্মী-সমর্থকদের কাছে বার্তা পৌঁছে যাচ্ছে ভার্চুয়াল সভার মাধ্যমে। তবে আনলক পর্বে ফের রাস্তায় নেমে পড়েছেন নেতারা। প্রতিদিনই বিভিন্ন ইস্যুতে বিরোধীরা আক্রমণ শানাচ্ছে শাসকের দিকে। পাল্টা জবাবও আসছে শাসকদলের তরফে। আর এই লড়াইয়ে মাইক্রোফোনই হয়ে উঠেছে চিন্তার কারণ। মঞ্চে নেতার সংখ্যা একাধিক। কিন্তু মাইক্রোফোন থাকছে একটি বা দু’টি। কর্ডলেস মাইক্রোফোন ঘুরছে এক হাত থেকে অন্য হাতে। ফলে সম্ভাবনা বাড়ছে সংক্রমণ ছড়ানোর।
চিকিৎসকরা বলছেন, মাইক্রোফোন ধাতব হওয়ায় চিন্তা বেশি। তাঁদের পরামর্শ, কর্ডলেস ব্যবহার না করে স্ট্যান্ড মাইকে ভাষণ দিন। কিন্তু, ভুলেও সেই স্ট্যান্ড বা মাইক্রোফোন স্পর্শ করবেন না। বিশিষ্ট চিকিৎসক দীপ্তেন্দ্র সরকারের কথায়, ‘ভাষণ দিতে গিয়ে নেতাদের অনেক সময় উঁচু গলায় কথা বলতে হয়। তখন থুতুর ড্রপলেট ছিটকে গিয়ে লাগে সামনে থাকা মাইক্রোফোনে। আর ড্রপলেট থেকেই যে করোনা সবচেয়ে বেশি ছড়ায়, তা এখন সবাই জানে। ফলে সাবধানের মার নেই। সব নেতাদেরই বলব, ভাষণ দিতে হলে মাস্ক পরেই দিন।’ এক দলীয় কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখার আগে রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে দেখা গেল মাইক্রোফোনের আগাপাশতলা স্যানিটাইজ করে নিচ্ছেন। বাইরে বের হলেই পকেটে নিচ্ছেন স্যানিটাইজারের শিশি। তাঁর কথায়, গোটা মাইক্রোফোনে আগে স্যানিটাইজার স্প্রে করছি। তারপর বক্তৃতা দিচ্ছি। বলা শেষ হলেই ফের দু’হাতে মেখে নিচ্ছি স্যানিটাইজার।’
রাজ্য রাজনীতিতে এখন সিপিএম-কংগ্রেস একসঙ্গে লড়ছে। সেখানে দুই দল মঞ্চ ভাগাভাগি করলেও মাইক্রোফোন থাকছে একটাই। কংগ্রেস সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্যের বক্তব্য, ‘কথা বলার সময় অনেকেরই মুখ থেকে থুতু ছিটকে বের হয়। তাই মাইক্রোফোন স্যানিটাইজ করাটা অত্যন্ত জরুরি। আমার পকেটে সব সময় স্যানিটাইজার থাকে। স্যানিটাইজ না করে মাইক্রোফোনে হাত দিচ্ছি না। প্রায় একই সুরে সিপিএমের বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচার্য বলেন, ‘নিজের ও সকলের সুরক্ষার স্বার্থেই মাইক্রোফোন স্যানিটাইজ করে নেওয়া উচিত। আমি নিজে তা করছি এবং সবাইকে করতে অনুরোধ করছি।’ মাইক ব্যবহারের আগে স্যানিটাইজ করছেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। -নিজস্ব চিত্র