গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
প্রথম দফায় ৩ মাসের জন্য মাসে প্রায় ৩ লক্ষ করে মোট প্রায় ৯ লক্ষ টন চাল বরাদ্দ করে কেন্দ্র। জাতীয় প্রকল্পের প্রায় ৬ কোটি ২ লক্ষ রেশন গ্ৰাহক গত মে মাস থেকে এর ভিত্তিতে অতিরিক্ত ৫ কেজি করে চাল পাচ্ছেন। প্রথম পর্যায়ের মেয়াদ জুলাই পর্যন্ত আছে। দ্বিতীয় পর্যায়ের জন্য রাজ্যকে গরিব কল্যাণ যোজনায় মাসে প্রায় ৩ লক্ষ করে ৫ মাসের জন্য ১৫ লক্ষ টন খাদ্যশস্য বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র। এর মধ্যে ১ লক্ষ ৭৯ হাজার টন গম ও ১ লক্ষ ২১ হাজার টন চাল দেওয়া হয়েছে। ফলে জাতীয় প্রকল্পের গ্ৰাহকরা পরের মাস থেকে অতিরিক্ত বরাদ্দ বাবদ চাল ও গম মিলিয়ে পাবেন। কেন্দ্রের মোট বরাদ্দের ভিত্তিতে মাথাপিছু চাল ও গমের পরিমাণ ঠিক করবে রাজ্য খাদ্যদপ্তর।
রাজ্য খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পের প্রায় ৪ কোটি রেশন গ্ৰাহক এতদিন বিনা পয়সায় ৫ কেজি করে চাল বিনা পয়সায় পেয়েছেন। আগামী আগস্ট থেকে জুন মাস পর্যন্ত এই গ্ৰাহকদের ২ কেজি করে চাল ও ৩ কেজি করে গম বিনা পয়সায় দেওয়ার প্রস্তাব খাদ্যদপ্তর থেকে নবান্নে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে অনুমোদন এলে বিজ্ঞপ্তি জারি করে দেবে দপ্তর। অল ইন্ডিয়া ফেয়ারপ্রাইস শপ ডিলার্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু জানিয়েছেন, চাল ও গম দেওয়া হলে তা গ্ৰাহকদের কাছে অনেক বেশি গ্ৰহণীয় হবে। কারণ রাজ্যের একটা বড় অংশের মানুষ ভাতের সঙ্গে রুটি খেতে অভ্যস্ত। রেশনে গম দিতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে অনুরোধ জানিয়েছিল ফেডারেশন। চাল কমিয়ে গম দিলে সরকারের আর্থিক সাশ্রয়ও হবে। এক কেজি চাল উৎপাদন করতে সরকারের খরচ হয় প্রায় ৩২ টাকা। গম দিলে কেজিতে এর তুলনায় ১০ টাকারও বেশি সাশ্রয় হবে।
তবে কেন্দ্রীয় সরকার এখনও গরিব কল্যাণ প্রকল্পে কয়েকটি রাজ্যকে শুধু চাল দেবে। এর মধ্যে অসম, সিকিম সহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলি ছাড়াও তেলেঙ্গানা, কর্ণাটক সহ কয়েকটি দক্ষিণের রাজ্য আছে। আবার রাজস্থান, হরিয়ানা সহ কয়েকটি রাজ্য শুধু গম পেয়েছে।