পঠন-পাঠনে আগ্রহ বাড়লেও মন চঞ্চল থাকবে। কোনও হিতৈষী দ্বারা উপকৃত হবার সম্ভাবনা। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
এই ৪৩৪টি এলাকায় করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় সেখানকার বাসিন্দাদের কড়া শাসনে বাঁধতে চায় সরকার। তবে তাঁদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, সেব্যাপারে পুলিশকে তৎপর থাকার নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন। তবে একইসঙ্গে জানানো হয়েছে, লকডাউন মানে লকডাউনই। প্রয়োজনে এবিষয়ে কড়া হতে হবে। কোনওভাবেই যাতে ঢিলেমি না দেওয়া হয় রাজ্য পুলিসের পক্ষ থেকে সেই নির্দেশ গিয়েছে জেলায় জেলায়। কলকাতা পুলিসও জানিয়ে দিয়েছে, সামান্যতম অন্যায় বরদাস্ত করা হবে না। আইনভঙ্গকারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গতকালই কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা এবং হাওড়ার কন্টেইনমেন্ট জোনের তালিকা চূড়ান্ত করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার তালিকা নিয়ে তিনি একেবারেই সন্তুষ্ট ছিলেন না। তাঁর নির্দেশে পরবর্তীতে তালিকা পুনর্বিবেচনা করেন মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা এবং স্বরাষ্ট্র সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রকাশিত চূড়ান্ত তালিকায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার কন্টেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৫৪টিতে। পাশাপাশি এদিন আরও ১৬টি জেলার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। সাম্প্রতিককালে রাজ্যে কন্টেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা প্রায় পৌনে তিন হাজারের কাছাকাছি ছিল। সেই সংখ্যা এদিন অনেকটাই কমে গিয়েছে। কোচবিহার, ঝাড়গ্রাম এবং পশ্চিম বর্ধমানে কন্টেইনমেন্ট জোন নেই।
লকডাউন নিয়ে বিরোধী মহলে বিরূপ প্রতিক্রিয়া কিন্তু অব্যাহত। যদিও সংক্রমণ রোধে নতুন করে লকডাউন জারি কোনওভাবেই রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নয় বলে জানিয়েছেন রাজ্যের পুরমন্ত্রী তথা কলকাতা পুরপ্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, রাজ্যের কিছু জায়গায় আক্রান্ত বাড়ছে। তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী যে যে স্থানে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে, সেখানে কড়া নজর রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিস। এই এলাকাগুলিকেই কন্টেইনমেন্ট জোন আখ্যা দেওয়া হয়েছে। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনো সম্পর্ক নেই। লকডাউন নিয়ে বিরোধীরা অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ফিরহাদ। তাঁর আশ্বাস, কন্টেইনমেন্ট জোন জেল নয়। এনিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। বাজারের সামনে গার্ড রেল দিয়ে আটকানো হয়েছে... যাতে সেখানে ভিড় না হয়। মানুষকে সুস্থ রাখার জন্যই এটা করা হচ্ছে। কিছু মানুষের জন্য সংক্রমণ বাড়ছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। আর্জি জানিয়েছেন, সংক্রামক এলাকার বাসিন্দারা বাইরে বেরবেন না।
এদিন সকাল থেকেই ৪৩৪টি কন্টেইনমেন্ট জোনে প্রচার চালিয়েছে পুলিস। সংশ্লিষ্ট এলাকার দোকানদারদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, দোকান খোলা যাবে না। সংশ্লিষ্ট রাস্তায় টোটো-অটো, বাইক থেকে শুরু করে সব ধরনের গাড়ি চলাচলও বন্ধ করা হয়েছে। শুক্রবার থেকে এই সব এলাকায় খুলবে না অফিসও। লকডাউনের নিয়ম ঠিকমতো মানা হচ্ছে কি না, সেব্যাপারে নজরদারির জন্য ২৪ ঘণ্টা পুলিস মোতায়েন থাকবে। টহল দেবে হেভি রেডিও ফ্লাইং স্কোয়াড ও রেডিও ফ্লাইং স্কোয়াডের গাড়ি। কেউ বিধি ভেঙে বাড়ির বাইরে বেরলে ব্যবস্থা নেবে পুলিস। সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দাদের খাবার ও ওষুধ পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থাও করবে তারা। হোম ডেলিভারির জন্য নির্দিষ্ট ফোন নম্বর থাকছে। অসুস্থ ব্যক্তিকে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থাও রাখা হচ্ছে। মাস্ক বাধ্যতামূলকই। না পরে বেরলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।