গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী কড়া বার্তা দেওয়ার পর অন্যান্য জেলার মতো উত্তর ২৪ পরগনা জেলাতেও টাকা ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। বারাসত মহকুমায় ক্ষতিপূরণের টাকা ফেরত দিয়েছেন ২৩৯ জন। টাকা ফেরত দেওয়ার বিষয়ে প্রথমে রয়েছে বারাসত২ ব্লক। সেখানে টাকা ফেরত দিয়েছেন ৯৬ জন, বারাসত১’এ ৪৩ জন, দেগঙ্গায় ৪১ জন, হাবড়া পুরসভা এলাকায় ৩৬ জন, হাবড়া২’এ ১৫ জন, হাবড়া১’এ ৫ জন, আমডাঙায় ২ জন ও অশোকনগর-কল্যাণগড় পুরসভায় ১ জন। বারাসত মহকুমায় এখনও পর্যন্ত ৪৭ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা ফেরত হয়েছে। যদিও বারাসত, মধ্যমগ্রাম ও গোবরডাঙা পুরসভায় একজনও টাকা ফেরত দেননি। এছাড়া দেগঙ্গা সহ অন্যান্য ব্লক ও পুরসভায় এখনও টাকা ফেরত না দেওয়া ‘প্রভাবশালী’র সংখ্যা কয়েক হাজার।
বনগাঁ মহকুমায় টাকা ফেরত দিয়েছেন মাত্র ৯৮ জন। তার মধ্যে বনগাঁ ব্লকে ৩৫ জন, গাইঘাটায় ৩৩ জন ও বাগদায় ৩০ জন। বসিরহাট মহকুমায় টাকা ফেরত দিয়েছেন ১৪৭ জন। তার মধ্যে মিনাখাঁয় ৪৬ জন, স্বরূপনগরে ৩৯ জন, হাড়োয়ায় ২০ জন, হিঙ্গলগঞ্জে ২০ জন, বাদুড়িয়ায় ১৪ জন, বসিরহাট১’এ ২ জন, হাসনাবাদে ৫ জন ও সন্দেশখালি২’এ ১ জন টাকা ফেরত দিয়েছেন। কিন্তু সন্দেশখালি১, বসিরহাট২ ব্লক সহ একাধিক জায়গায় এখনও টাকা ফেরত না দেওয়ার সংখ্যা কয়েক হাজার।
প্রশাসনিক আধিকারিকদের দাবি, অনেকে প্রথমে লজ্জায় টাকা ফেরত দিতে আসেননি। এরপর ধীরে ধীরে বিভিন্ন স্তরে যোগাযোগ করে টাকা ফেরতের জন্য চাপ বাড়ানোয় এই প্রবণতা বাড়ছে। জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ নারায়ণ গোস্বামী বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা আমরা প্রশাসনিকভাবে সর্বস্তরে পৌঁছে দিয়েছি। এছাড়া দলগতভাবে কড়া ও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত ১২ জনকে শোকজ করা হয়েছে। আরও বেশ কয়েক জনের বিরুদ্ধে শোকজের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। কেউ ছাড় পাবে না, গরিব মানুষের টাকা নিয়ে কোনও নয়ছয় বরদাস্ত করা হবে না।