কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
লকডাউন পিরিয়ডে টিকাকরণ কর্মসূচি সফল করা ছিল বড় চ্যালেঞ্জ। এ ব্যাপারে উদ্বেগও প্রকাশ করেছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। তবে, অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় পশ্চিমবঙ্গে এই কর্মসূচির উপর পূর্ণ নজরদারি চালাতে সক্ষম হয়েছেন স্বাস্থ্যকর্তারা। আর এই সাফল্যে বড় সহায়ক হয়েছে ‘মাতৃমা’। গ্রামীণ এলাকায় কোন বাড়ির শিশুর পোলিও টিকাকরণ হয়নি, কোথায় কর্মসূচি থমকে রয়েছে... এই সবকিছুই স্বাস্থ্যকর্তারা জেনেছেন ‘মাতৃমা’য়। তা ছাড়াও কোন মায়ের ‘অ্যান্টিনেটাল চেক-আপ’ পূরণ হয়নি, কোন জেলার কোন ব্লকে প্রসূতি মায়েদের মৃত্যু অস্বাভাবিক বেড়ে গিয়েছে, পরিবার পরিকল্পনায় কোন জেলা বা ব্লক এগিয়ে কিংবা পিছিয়ে—তারও তথ্য জানিয়ে দিচ্ছে এই সফটওয়্যার।
নাবালিকা বিয়ের হার তুলনামূলকভাবে পশ্চিমবঙ্গে কিছুটা বেশি। তাদের মধ্যে সন্তানসম্ভবা হয়ে ওঠার প্রবণতাও বাড়ছে। কোন ক্লাসে পড়তে পড়তে ওই নাবালিকার বিয়ে হয়েছে, তার বাড়ি-ই বা কোন গ্রামে, এমন তথ্যও জুগিয়ে যাচ্ছে ‘মাতৃমা’। সেই সব তথ্যের উপর ভিত্তি করে সচেতনতামূলক প্রচার কর্মসূচিতে তদারকিও চালাচ্ছে স্বাস্থ্যভবন। স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডাঃ অজয় চক্রবর্তীর দাবি, ‘এই মুহূর্তে ‘মাতৃমা’ ভারতসেরা। প্রত্যন্ত প্রান্তের শিশু ও মায়েদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত খুঁটিনাটি তথ্য নিমেষে হাতের মুঠোয় আনার প্রযুক্তি এখনও দেশে তৈরি হয়নি।’
কীভাবে কাজ করছে ‘মাতৃমা’? স্বাস্থ্যকর্তারা জানিয়েছেন, মাসকয়েক আগে রাজ্যের ১০ হাজারের বেশি এএনএম কর্মীর হাতে তুলে দেওয়া হয় আধুনিক ট্যাব। কীভাবে ব্যবহার করতে হবে, কীভাবে তথ্য আপলোড হবে, সেই সংক্রান্ত প্রশিক্ষণও দেওয়া হয় তাঁদের। ওই কর্মীরাই সুদূর গ্রাম থেকে প্রতি মুহূর্তে মা ও শিশুদের স্বাস্থ্য-তথ্য মুহূর্তে মুহূর্তে ‘মাতৃমা’য় আপলোড করছেন। পাশাপাশি, সরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে আসা মা ও শিশুদের বিভিন্ন তথ্য ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে ঠাঁই পাচ্ছে ‘মাতৃমা’য়। পয়লা এপ্রিল থেকে চালু হয় ‘মাতৃমা’। শুক্রবার পর্যন্ত এই সফটওয়্যারের তথ্য বলছে—রাজ্যে মোট সন্তানসম্ভবা মায়ের সংখ্যা তিন লক্ষ ৩৯ হাজার ২১৭ জন, নবজাতকের সংখ্যা ২ লক্ষ ৪ হাজার ৮২২। তবে এই তথ্য প্রতি মুহূর্তে বদলাচ্ছে। কারণ, ২৪ ঘণ্টা অন্তর জেলা, মহকুমা, ব্লক ও উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা করাতে আসা মা ও শিশুদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত তথ্য আপলোড হচ্ছে ‘মাতৃমা’য়।