পঠন-পাঠনে আগ্রহ বাড়লেও মন চঞ্চল থাকবে। কোনও হিতৈষী দ্বারা উপকৃত হবার সম্ভাবনা। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
করোনার সংক্রমণ থেকে বাঁচতে বারবার হাত ধোয়ার সঙ্গে স্যানিটাইজার ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়ে চলেছেন চিকিৎসকরা। মানি পার্স আর মোবাইল ফোনের সঙ্গেই স্যানিটাইজারের রিফিল প্যাক এখন প্রত্যেকের পকেটের সঙ্গী। বাজারে স্যানিটাইজারের চাহিদা এখন তুঙ্গে। নামী, দামি এবং ভুঁইফোঁড় সমস্ত সংস্থা এখন স্যনিটাইজার তৈরি করতে শুরু করেছে। কলকাতার পাশাপাশি ঝাড়খণ্ড, বিহার, উত্তরপ্রদেশ সহ অন্য রাজ্যে তারা ম্যানুফ্যাকচারিং ইউনিট খুলেছে। কিন্তু তারা কী পরিমাণ কর দিচ্ছে, তাই নিয়ে ডিজিজিআই খোঁজখবর নিতে শুরু করে। সংস্থাগুলির জিএসটি রিটার্নের কাগজপত্র খতিয়ে দেখা হয়। সেখান থেকে বড় ধরনের কর ফাঁকি দেওয়ার বিষয়টি ধরা পড়ে বলে জানা যাচ্ছে। ডিজিজিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, সংস্থগুলি ১২ শতাংশ হারে জিএসটি দিচ্ছে। অথচ স্যানিটাইজারের ক্ষেত্রে এই হার হবে ১৮ শতাংশ। কেন্দ্রীয় এই সংস্থার কর্তারা জানতে পারছেন, এই কোম্পানিগুলি হ্যান্ড স্যানিটাইজারকে থেরাপিউটিক বা প্রতিষেধক হিসেবে দেখাচ্ছে। যার ক্ষেত্রে ১২ শতাংশ জিএসটি ধার্য আছে। অথচ হ্যান্ড স্যানিটাইজার এই ক্যাটাগরিতে পড়ে না। হ্যান্ড স্যানিটাইজার প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি এভাবে কর ফাঁকি দেওয়াতে উদ্বিগ্ন জিএসটির আধিকারিকরা। তাঁদের ব্যাখ্যা এটি ভেষজ প্রোডাক্ট নয়, আবার প্রতিষেধকও নয়। হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরি করতে অ্যালকোহল আবশ্যিক। মিস ক্লারিফিকেশন দেখাচ্ছে কোম্পানি গুলি। যাতে কর ফাঁকি দেওয়া যায়। ডিজিজিআই-এর কাছে আসা তথ্য অনুযায়ী, অনলাইন ই-কমার্সের মাধ্যমে যে সমস্ত কোম্পানিগুলি ব্যবসা চালাচ্ছে, কর খেলাপিদের তালিকায় তারা যেমন রয়েছে, তেমনই আবার খোলা বাজারে যারা বিক্রি করে, এমন কোম্পানিও আছে। যারা এই কর ফাঁকি দিয়েছে তাদের তালিকা এখন প্রস্তুত। তার ভিত্তিতে এই সমস্ত কোম্পানিগুলিতে তল্লাশি শুরু হয়েছে। কেন্দ্রীয় আর্থিক তদন্তকারী এই সংস্থার কর্তারা জানতে পারছেন, ৬৫টির বাইরেও আরও অনেক কোম্পানি আছে। যারা একই কায়দায় কর ফাঁকি দিয়ে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। রাজ্যে যেসব প্রস্তুতকারক সংস্থা আছে, তাদের নথি জোগাড় করা হচ্ছে। কর ফাঁকি দেওয়া কোম্পানিগুলির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থার পাশাপাশি জরিমানাও হবে বলে খবর ডিজিজিআই সূত্রে।