পঠন-পাঠনে আগ্রহ বাড়লেও মন চঞ্চল থাকবে। কোনও হিতৈষী দ্বারা উপকৃত হবার সম্ভাবনা। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
এছাড়া বিজনেস স্টাডিজে একাদশ শ্রেণী থেকে বাদ গিয়েছে জিএসটি, দ্বাদশে নোট বাতিল। দু’টি বিষয় নিয়েই মোদি সরকার রাজনৈতিক মহলে প্রবল সমালোচিত। সেই অস্বস্তি এড়াতেই কি ‘কৌশলে’ জিএসটি এবং নোট বাতিল ইস্যু বাদ দেওয়া হয়েছে? এছাড়া দ্বাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান থেকে পাকিস্তান, বাংলাদেশ, নেপাল, মায়ানমার এবং শ্রীলঙ্কার মতো প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের অংশটিও বাদ পড়েছে। এই দেশগুলির সঙ্গে ইদানীং মোদি সরকারের সম্পর্ক খারাপ।
তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেছেন, ‘ক্ষমতায় আসার পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোকে ধ্বংসের চেষ্টা করছে মোদি সরকার। এবার সিলেবাস থেকে বাদ দিয়ে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকেও গণতান্ত্রিক ভারতের গুরুত্বপূর্ণ ওই বিষয় ভুলিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র হচ্ছে।’ এই ইস্যুতে তৃণমূল রাস্তায় নামতে পারে বলে খবর। প্রয়োজনে সিবিএসই’র বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে কংগ্রেসও। দলের মুখপাত্র অভিষেক মনু সিংভি বলেন, ‘দেশটাকে তামাশা বানিয়ে ফেলেছে মোদি সরকার।’
যদিও বিষয়টি নিয়ে অহেতুক ভুল ধারণা তৈরি হয়েছে বলেই জানিয়েছেন বোর্ড সচিব অনুরাগ ত্রিপাঠি। তাঁর কথায়,‘যেসব বিষয় সরানো হয়েছে, সেগুলি যে ছাত্রছাত্রীরা আগের ক্লাসে পড়েনি, তা নয়। ভবিষ্যতেও পড়বে। সিলেবাসে থাকবে। এবার যেহেতু কোর্স শেষ করা সময় কম, তাই সেগুলি থেকে পরীক্ষায় প্রশ্ন আসবে না।’ বোর্ডের মুখপাত্র রমা শর্মা জানান, ‘কোনও স্কুল বিষয়গুলি পড়াতে পারবে না, এমন কিছু বোর্ড বলেনি।’