পঠন-পাঠনে আগ্রহ বাড়লেও মন চঞ্চল থাকবে। কোনও হিতৈষী দ্বারা উপকৃত হবার সম্ভাবনা। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
কমিশন সূত্রে খবর, ২৭ জুলাই শ্রমদপ্তরের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছে তারা। লকডাউন এবং আনলক পর্বে রাজ্যের শিশুশ্রমের ছবিটা ঠিক কেমন, তা বোঝার জন্যই এই বৈঠক। কমিশনের শিক্ষার অধিকার আইন নিয়ে কাজ করা এক আধিকারিক জানিয়েছেন, চাইল্ডলাইন এবং অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলিকে সঙ্গে নিয়ে এগনো হবে। কমিশনের চেয়ারম্যান অনন্যা চক্রবর্তী বলেন, ‘পঞ্চায়েত স্তর থেকেও তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু হয়েছে। সেই তথ্য হাতে এলে ছবিটা অনেকটাই পরিষ্কার হবে।’ এর একটা সমাধানের পথ বেরিয়ে আসবে বলেই আশাবাদী কমিশন। তবে কন্টেইনমেন্ট জোনে পড়ায়, আজ থেকে বন্ধ করে দিতে হচ্ছে শিশু কমিশনের অফিস। বাড়ি থেকেই কাজ করবেন কর্মী-আধিকারিকরা।
ড্রপ আউট কমাতে স্কুল শিক্ষায় একাধিক কার্যকরী প্রকল্প চালু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কন্যাশ্রী, সবুজসাথীর মতো প্রকল্পগুলি ছাড়াও বিনামূল্যে ইউনিফর্ম, ব্যাগ, বই-খাতা, জুতো দেয় রাজ্য সরকার। এর ফলে ছাত্রীদের মধ্যে স্কুলে যাওয়ার প্রবণতা অনেকগুণ বেড়েছে। সার্বিকভাবে রাজ্যে ড্রপ আউটের নিম্নগামী হার অন্যান্য রাজ্যগুলির কাছে ঈর্ষার কারণ হতে পারে। কিন্তু সেই ছবিটা বদলে দিয়েছে জোড়া বিপর্যয়। করোনার জেরে আর্থিক অনটন তো ছিলই।
তার উপর এরাজ্যের কয়েকটি জেলাকে কার্যত শুইয়ে দিয়েছিল ঘূর্ণিঝড় উম-পুন। এখনও সেই জোড়া আঘাত কাটিয়ে মাথা তুলতে পারেনি বহু পরিবারই। সে কারণেই পুরোপুরি আশ্বস্ত হতে পারা যাচ্ছে না। স্টেট ফোরাম অব হেডমাস্টার অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেস-এর সাধারণ সম্পাদক চন্দন মাইতি বলেন, ‘শিশুশ্রমের পাশাপাশি, নাবালিকা বিবাহও একটা উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাবা-মা দায় ঝেড়ে ফেলতে চাইছেন। তাই এলাকার ছাত্রীদের উপর যতদূর সম্ভব নজর রাখছেন শিক্ষকরা।’