গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
২০১৯ সালের হিসেবে কেন্দ্রের নাম-কা-ওয়াস্তে বরাদ্দ অর্থে আদৌ কোস্টাল সার্কিটের ওই আট এলাকার উন্নয়ন সম্ভব নয় বলেই মনে করা হচ্ছে। পর্যটনমন্ত্রকের সংশ্লিষ্ট বার্ষিক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, স্বদেশ দর্শন কর্মসূচির আওতায় ২০১৯ সালে পশ্চিমবঙ্গ সহ বিভিন্ন রাজ্যকে মোট ৬৭৫ কোটি ৮৯ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে। তবে পশ্চিমবঙ্গের মতো অন্যান্য রাজ্যের প্রাপ্তির ভাঁড়ার এতটা শূন্য নয়। যেমন এক্ষেত্রে সবথেকে বেশি বরাদ্দ হয়েছে বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশের জন্য। ১০৯ কোটি ১৬ লক্ষ টাকা। এর মধ্যে স্বদেশ দর্শন স্কিমের অধীনে রামায়ণ সার্কিট থিমে চিত্রকূটের পরিকাঠামোগত উন্নয়ন অন্যতম। জম্মু-কাশ্মীরকে দেওয়া হয়েছে ৯১ কোটি ২২ লক্ষ টাকা। বিহার পেয়েছে ৬৮ কোটি ৪৩ লক্ষ টাকা।
পাশাপাশি, পর্যটনের এরকম বিপুল সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও কেন পশ্চিমবঙ্গের জন্য ২০১৯ সালে এত কম বরাদ্দ করা হয়েছে, তা নিয়ে প্রত্যাশিতভাবেই জল্পনা ছড়িয়েছে তথ্যাভিজ্ঞ মহলে। যদিও পর্যটনমন্ত্রক সূত্রে জানা যাচ্ছে, বাংলার পর্যটনস্থলগুলির জৌলুস আরও বাড়াতে স্বদেশ দর্শন কর্মসূচিতেও জোর দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। এই বিষয়ে কেন্দ্র বিভিন্ন চিন্তাভাবনাও করছে। এমনকী উন্নয়নমূলক কাজের বাস্তবায়ন কীভাবে সম্ভব, তা চূড়ান্ত করতে রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনাও করতে চাইছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক। যদিও বর্তমান করোনা পরিস্থিতির কারণে এখন সেভাবে পর্যটনস্থলের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছেন না পর্যটকেরা। অধিকাংশ পর্যটনস্থল বন্ধই রয়েছে। কাজেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এই বিষয়ে খুব বেশি অগ্রগতির সম্ভাবনা নেই বলেই মনে করা হচ্ছে।